তালেবানের উত্থানকে অজুহাত করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টায় মিয়ানমার
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের দেয়া তালিকা যাচাই-বাছাই, সেনা অভ্যুত্থান ও নির্বাচন এবং করোনার প্রাদুর্ভাবের পর এবার আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানকে অজুহাত করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে ধুরন্ধর মিয়ানমার। নিরাপত্তা বিশ্লেষক আর গবেষকরা বলছেন, পার্শ্ববর্তী বড় দেশগুলোর দ্বিচারিতা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর অনাগ্রহ আর মুসলিম দেশগুলোর অনৈক্যে ৪ বছরেও সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। পাশাপাশি চলমান সংকট সমাধানে চীন, ভারত আর রাশিয়াকে পক্ষভুক্ত করতে না পারার দায়ও আছে বাংলাদেশের। এরই মধ্যে ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৭ সালের আগষ্টে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের এমন স্রোত আসতে থাকে বাংলাদেশের দিকে। সেদেশের সেনাবাহিনীর নৃশংস গণহত্যা থেকে জীবন বাঁচাতে সপরিবারে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। সংখ্যার হিসেবে যা ১১ লাখেরও বেশী। মানবিক বিবেচনায় সাময়িক আশ্রয় দিলেও শুরু থেকেই তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সক্রিয় বাংলাদেশ। কিন্তু চার বছরে সুফল আসেনি কিছুই।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার পর আফগানিস্তানের তালেবান ইস্যুতে এখন অনেকটাই চাপা পড়েছে রোহিঙ্গা সংকট। সেখান থেকে বিশ্ববাসীর নজর ফেরাতে যে কূটনৈতিক তৎপরতার প্রয়োজন, সেখানে ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশের।
আইনজ্ঞ আবু নোমান মনে করেন নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ সক্রিয় হতে হবে সরকারকে। আর সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর এমদাদ মনে করেন, প্রতিবেশীদের কড়া বার্তা দিতে ব্যর্থ হলে সংকট আরো দীর্ঘ হবে।
এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে টেকনাফ থেকে নেয়া হয়েছে ভাষানচরে। আর প্রায় প্রতিদিনই দেশের নানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে ক্যাম্প ছেড়ে পালানো রোহিঙ্গাদের। এরই মধ্যে ৫৩ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার ঘটনাও প্রকাশ করেছে দুদক। এসব ঘটনাকে উদ্বেগজনক সংকেত মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।