দ্রব্য মূল্যের যাতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
দ্রব্য মূল্যের যাতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষ। চাল ডাল তেল চিনিসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা সবাই। আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না ক্রেতারা। পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের দামের পার্থক্য অনেক। এমন অবস্থায় বাজার মনিটরিং এর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
রাজধানীর বাজারে সবজির পাইকারী ও খুচরা দামের পার্থক্যে নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের। খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুড়ে দেখা গেছে দামের ব্যবধান পণ্য ভেদে কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেশি। আবার কোন কোন সবজি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামেও।
রাজধানীর মিরপুর এক নম্বর পাইকারী কাঁচাবাজার। এখানে খাদ্য তালিকায় থাকা সব ধরনের সবজির দাম অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু দূরে খুচরা বাজারে এসব সবজির দাম চড়া। মাত্র আধা কিলোমিটারের ব্যবধানে ১০ টাকা কেজির পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকায় , ৫০টাকার কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। ৫০টাকার টমেটো ১০০ আর ১০০টাকার সিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকায়। এছাড়াও সব ধরনের সবজীর দামের তারতম্য ২০ থেকে ৩০ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা দামের পার্থক্যে হতাশ ক্রেতারা। বাজারে দামের পার্থক্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন সাধারণ ক্রেতাদের। মুদিপণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে মাছের দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। অপরদিকে অপরিবর্তিত আছে গরু খাসির মাংসের দম।