পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ কোন প্রকল্পকে সমর্থন করবে না কর্পোরেশন
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দেয়া সিটি কর্পোরেশনের আপত্তিকে পাত্তাই দিচ্ছে না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- সিডিএ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অযৌক্তিক আপত্তিকে গুরুত্ত্ব দিতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার পাওয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। আর সিটি মেয়র বললেন পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ কোন প্রকল্পকে সমর্থন করবে না কর্পোরেশন। এদিকে নগর বিশেষজ্ঞদের দাবি- সিডিএর আপত্তি শুনতে গেলে পুরো ডিজাইনেই পরিবর্তন আনতে হবে। এতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মুল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি লালখান বাজারের আখতারুজ্জান ফ্লাইওভার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটার লম্বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে অধিকাংশ এলাকায় মুল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন গার্ডার আর স্লাব বসানোর কাজ বাকি। অথচ এই পর্যায়ে এসে হঠাৎ প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে বসেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
তাদের দাবি উড়ালসড়কটি যেখানে নামবে সেই টাইগারপাস এলাকাটি প্রাকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে ফ্লাইওভার হলে ঢাকা পড়বে প্রকৃতি। আর এতেই তাদের আপত্তি।
আর সিডিএর দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোকে বিবেচনা না করেই হঠাৎ করে আপত্তি জানিয়ে বসেছে সিটি কর্পোরেশন। তাই এটাকে খুব বেশি পাত্তা দিতে চাননা তারা। এমনকি যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি নয় সিডিএ।
আর নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের শুরুতে সমর্থন দিলেও শেষ পর্যায়ে এসে সিটি কর্পোরেশনের এমন আপত্তি দু:খজনক। যা আমলে নিলে নগরীকে যানজট মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যটাই ব্যহত হবে।
৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই প্রকল্প চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলা, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা আর বন্দরের কাজ স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে দীর্ঘসুত্রিতার কবলে পড়ে এই বৃহৎ প্রকল্পটি। এই বাস্তবতায় ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিডিএ। ফুটেজ-১ ও ২