প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানীর বিরুদ্ধে
- আপডেট সময় : ০৭:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ, মিটার টেম্পারিং এমনকি নিয়োগ জালিয়াতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। টিআইবির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির ৯৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই দুর্নীতিগ্রস্ত। তথ্যপ্রমান থাকলেও বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা থেকেই যাচ্ছে রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠানটিতে।
২০১০ সালে বাখরাবাদকে ভেঙ্গে গঠন হয় কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী বা কেজিডিসিএল। শুরুতে ৩৭৭ জন কর্মকর্তা আর ৪২৭ জন কর্মচারি দিয়ে কাজ শুরু। এই কোম্পানীটিতে ৫৭ জন কর্মচারী নিয়োগ দেন তৎকালীন এমডি সানোয়ার হোসেন চৌধুরী।
নিয়োগের ক্ষেত্রে পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। মানা হয়নি মেধার যাচাই বাছাই। নিয়োগ তালিকা বলছে, জেলা কোটার স্থলে মেধা, মেধার স্থলে মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদে প্রার্থী না পাওয়ার অজুহাতে চুড়ান্ত হয় নিয়োগপত্র। যাদের অধিকাংশই সানোয়ার হোসেনের পটিয়া এলাকার বাসিন্দা। [জিএফএক্স-২ থেকে ৭ লাল বক্স ও হাইলাইট অংশ জুম হবে]
এছাড়া, প্রথম দুই বছরে অন্তত ১১৬ টি শিল্প সংযোগে অনিয়ম, মিটার টেম্পারিংসহ ৩৩টি অভিযোগের প্রমাণ পেলে তাকে বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা। দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় সানোয়ারসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অথচ শাস্তির মুখোমুখি না হয়ে সবাই ঘুরছেন স্বাধীনভাবে। ফলে বাড়ছে দুর্নীতির প্রবণতা।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০ কর্মকর্তার দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইর্ন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ…. টিআইবি।
বর্তমানে কর্ণফূলীর অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। যাদের অনেকেই অবসরে গেছেন বিনা বাধায়, পদোন্নতিও ঠেকে নেই।
তবে নতুন যোগদান করায় এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর বর্তমান এমডি।