দুর্নীতি মুক্ত করতে গিয়ে বরিশাল সিটি কর্তৃপক্ষই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতি মুক্ত করতে গিয়ে, কর্তৃপক্ষই তাতে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম-নীতির বাইরে লিখিত ও মৌখিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। ওএসডি করা হয়েছে অনেককে। এক বছর ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে অর্ধশত ব্যক্তির। ওএসডি এবং বেতন বন্ধের কারণ জানেন না তারা।
চাকরিচ্যুতির চিঠি হাতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুকে তার প্রতিবন্ধী ছেলের উদ্দেশ্যে অসহায়ত্বের কথা লিখে স্ট্যাটাস দেন পাম্প অপারেটর আব্দুস সালাম সরদার।সেখানে কয়েক’শ ব্যক্তি সান্ত্বনা দেন তাকে।
বর্তমান পরিষদ ৩২ মাসের মধ্যে সালামকে ২৫ মাসই ওএসডি করে রাখে। ১৫ মাস কোন বেতন-ভাতা দেয়নি। সম্প্রতি তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এভাবে আরও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে দীর্ঘদিন ওএসডি রাখার পর চাকরিচ্যুত করা হয়।
অশ্লীল তথ্য ছড়িয়ে সামাজিকভাবে তাদের হেয় করা হয়েছে বলে দাবি করেন, চাকরিচ্যুতরা।
কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অব্যাহতি প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে মনে করেন, সুজন সম্পাদক।
সিটি কর্পোরেশন এই একতরফা চাকরিচ্যুতিকে বেআইনি কর্মকান্ড হিসেবে উল্লেখ করেন, আইনজীবীরা।।
কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সৎভাবে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়ায় কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।তবে, সিটি কর্পোরেশন তা কাটিয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন প্যানেল মেয়র।
এদিকে, ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে মৌখিক নির্দেশে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিয়মিত কাজ করলেও ৫৮ জন এক বছর এবং ১৪ মাস ধরে ওএসডি করে রাখা ৩২ জনের বেতন-ভাতা বন্ধ। বেশ কয়েকজনকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হয় না। বেতন বন্ধ ও চাকরি হারানোর আতংকে রয়েছেন অনেকে।