রাজপথে কার্যকর কর্মসূচি দিতে না পারায় ঐক্যফ্রন্ট রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ দলীয় জোটের বাইরে বিএনপি’র নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই নেই এর কোন কার্যক্রম। ফ্রন্ট নেতারা বলছেন, রাজপথে কার্যকর কর্মসূচি দিতে না পারায় ঐক্যফ্রন্ট রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সবাইকে সক্রিয় করতে বিএনপির প্রতি তাগিদও দেন তারা। আর বিএনপি নেতাদের দাবি, ঐক্যফ্রন্টে কোনো সংকট নেই।
হাকডাক দিয়ে একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর–গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। এই নির্বাচনি জোটে যোগ দেয় বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, কৃষক-শ্রমিক-জনতা পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল।
এর মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোট শরীকদের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ে বিএনপির। নানা ইস্যুতে কর্মসূচি পালন নিয়ে মতবিরোধও দেখা দেয়। বিশেষ করে জামায়াত নেতাদের মনোনয়নকে ঘিরে সংকট গভীর হয়। এ কারণেই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের পাল্লা ভারি হলেও এ পর্যন্ত রাজপথে সরকার বিরোধী কোনো আন্দোলন কর্মসূচিও দিতে পারেনি তারা।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নারও প্রশ্ন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে।ফ্রন্ট সুসংগঠিত করতে বিএনপিকে এগিয়ে আসার আহবান তার। ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কথা বলতে না চাইলেও আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়- সরকারের দমন-পীড়ন ও করোনাকে দায়ী করেন।
১৮-এর নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় তুলে ধরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে জানান নানা কর্মপরিকল্পনা কথা। এদিকে, ফ্রন্টের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে না আসলে রাজনীতিতে কোনঠাসা হবে বিএনপি-এমন শঙ্কা ড. মোহাম্মদ নুরুল আমীন ব্যাপারী। জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে বিএনপিকে গণতন্ত্রমনা সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের তাগিদ দেন রাজনীতির এই অধ্যাপক।