৪৬৭ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধে চট্টগ্রাম বন্দরকে কাস্টমসের তাগিদ
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩৫ আইটেম পণ্যের আমদানী চালানের ওপর ৪৬৭ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করতে চট্টগ্রাম বন্দরকে তাগিদ দিয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। একই সাথে ২০১৯ সালে অব্যাহতি পাওয়া রপ্তানী পণ্যের ওপর ৩৩ কোটি টাকা শুল্ক আদায় না করায় ৬টি অফডককে দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। কয়েক মাস ধরে ভ্যাট কর্তৃপক্ষের এমন অদ্ভুত চিঠি পাচ্ছে চট্টগ্রামের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। ভুক্তভোগীদের দাবি, ভ্যাট কর্তৃপক্ষের এমন চিঠি সরকারী নির্দেশনার সঙ্গেই সাংঘর্ষিক।
২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ২৫ রকমের পণ্যের ওপর ভ্যাট আদায় করে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে ২৫ টির পরিবর্তে ৬০ টি পণ্যের ওপর ভ্যাট আদায় করতে নির্দেশ দেয় এনবিআর। ৪ বছর পর এসে ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাকি ৩৫ টি পণ্যের ওপরও ভ্যাট চেয়ে বসেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। যা পরিশোধ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বন্দরকে।
নির্ধারিত চার্জের বিনিময়ে পণ্য রপ্তানীতে চট্টগ্রাম বন্দরের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ১৯ টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক। সম্প্রতি ২০১৯ সাল থেকে গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানী চার্জের সঙ্গে ৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়নি কেন , তা জানতে চেয়ে ৬ টি অফডককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩ টি অফডককেও এমন চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এতে ক্ষুব্ধ অফডক মালিকরা।
রপ্তানীকারকরা বলছেন, ২০১৯ সালের জুনে জারি করা সরকারী আদেশে ভ্যাট অব্যহতি পেয়েছেন তারা। ২ বছর পর শুল্ক চাওয়া , ভ্যাট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অনৈতিকতা বলেই মনে করেন তারা।
তবে এ ব্যাপারেও কথা বলতে রাজি হননি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আকবর হোসেন।