সবজি চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক
- আপডেট সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬২২ বার পড়া হয়েছে
সবজির ভান্ডার হিসেবে খ্যত যশোরে সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে আর এই বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে উৎপাদিত সবজি মানুষের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সব জেনেও কৃষকরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় বছরের পর বছর বিষ নামের এই বালাইনাশকের ব্যাবহার অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত সবজি শুধু মানবদেহের ক্ষতি করে তাই নয়, হুমকি পরিবেশের জন্যও।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ সবজি সরবরাহ করে যশোর। জেলা সদরের বারিনগর, লেবুতলা, চুড়ামনকাটি, হৈবৎপুর ও মনিরামপুরের হরেরগাতি এলাকায় মাঠের পর মাঠ বছরজুড়ে সিম,পটল, বেগুন, করোলাসহ নানা রকম সবজির চাষ হয়। অধিক মুনাফা আর বাড়তি ফলনের আসায় হাইব্রিড জাতের সবজি ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যাবহার করেন চাষীরা।
বিষ প্রয়োগে মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথা জেনেও দ্রুত ফলন এবং ভালো দামের আশায় কীটনাশক ব্যবহার করত বাধ্য হন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এসব কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে সবজি ক্ষেতে।
চিকিৎসকদের অভিমত, কীটনাশক দ্বারা উৎপাদিত সবজি রান্নার পরও কিছুটা বিষ মানবদেহে প্রবেশ করে, যা কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে বিষমুক্ত সবজি খেতে হবে।
কৃষিবিদদের পরামর্শ, ফসল চাষের প্রথম পর্যায় থেকে উন্নত বীজ ব্যবহার, আগাছা পরিষ্কারসহ চাষের প্রতিটি ধাপে সাবধানতা অবলম্বন করে কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জেলায় এ বছর সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়েছে।