পৃথিবীতে গ্রিন হাউজ অ্যাফেক্ট বাড়ছে
- আপডেট সময় : ০৯:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
পৃথিবীতে গ্রিন হাউজ অ্যাফেক্ট বাড়ছে। বিশ্বে দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত ভাবাচ্ছে সবাইকে। আবহাওয়ার তীব্র রূপের বহিপ্রকাশ বৈশ্বিক উষ্ণতা, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্যের পাশাপাশি জানা যায়, ২০২০ সাল ছিল এশিয়ায় রেকর্ড উষ্ণতম বছর।
তীব্র তাপপ্রবাহ, বিধ্বংসী বন্যাসহ পৃথিবীর আবহাওয়া প্রতিনিয়ত চরম ভাব বাড়ছে। কিন্তু এটাই এখন স্বাভাবিক নিয়ম এমনটাই বলছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা….ডব্লিউএমও। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন….কপ-২৬ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডব্লিউএমও আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালের জলবায়ু প্রতিবেদনে দুর্বিষহ একটি বিশ্বকে তুলে ধরা হয়েছে।
ডব্লিউএমওর অধ্যাপক পেটেরি তালাস বলেন, মানুষের কারণে জলবায়ুর যে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বাড়ছে।
ডব্লিউএমওর গবেষকরা বলছেন, ২০২০ সাল ছিল এশিয়ার জন্য রেকর্ড উষ্ণতম বছর। প্রথমবারের মতো এশিয়ার জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে এ তথ্য সংস্থাটির।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, কপ-২৬ একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’। যা মানুষ ও পৃথিবীর জন্য আর্শীবাদস্বরূপ হতে হবে।
গত দশক ছিল রেকর্ড গরম। বিজ্ঞানীরা বারবার এ ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছেন। বিশ্বের সরকারগুলো একমত যে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে যৌথ পদক্ষেপ দরকার।
কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের ২০০টি দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত না রাখতে পারলে বিপর্যয় এড়ানো যাবে না।
কপ-২৬ থেকে জোরালো সিদ্ধান্ত আসবে। এমটাই আশা করছে বিশ্ববাসী।