ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত
- আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৮৫ বার পড়া হয়েছে
রাজধানী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এই রায় দেন। ৭২ ঘন্টা পার হলে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়না উল্লেখ করে, ভবিষ্যতে এরকম মামলা না নেয়ার পরামর্শ দেয় আদালত।
৩ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দুই দফায় পেছানো হয়, আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষনা। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচ আসামীকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
তাদের উপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু করে আদালত। রায়ে বলা হয়, ঘটনা ঘটার ৩৮ দিন পর বাদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন। মামলাটির মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের সমর্থনে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকেই খালাসের রায় দেয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭।
ক্ষোভ জানিয়ে আদালত বলে, প্রকৃত ধর্ষণ মামলার বিচার করাই কষ্টকর। সেখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের সময় নষ্ট করা হয়েছে। ৭২ ঘন্টা পার হলে, ধর্ষণ প্রমান করা যায়না উল্লেখ করে এরকম মামলা না নিতে পরামর্শ দেয়া হয় রায়ে। তবে, বাদী পক্ষের দাবি, এ মামলা মিথ্যা নয়।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বন্ধুর সাথে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন। এই অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।