আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য এ দিনটি ছিল অস্থির আর উদ্বেগের
- আপডেট সময় : ০২:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১-এর এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় হানাদার বাহিনী সর্বত্র পিছু হটতে থাকে। চতুর্দিক থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য এ দিনটি ছিল অস্থির আর উদ্বেগের।
ডিসেম্বর। এক শিহরনের মাস। দিন যত যায়, ততই বাড়তে থাকে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। ভারতীয় বাহিনী, মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিধস্ত হতে থাকে পাকবাহিনীর ক্যাম্প।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের আকাশে আধিপত্য বিস্তার করে মিত্র বাহিনী। পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সিনিয়র জর্জ বুশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
এমন উৎকণ্ঠাপূর্ণ অবস্থায় তৎকালিন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ লিখিতপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান।
এরই মধ্যে আসে খুশির সংবাদ। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেস্তে যায়।
এদিকে, বাংলার দামাল ছেলেরা দুর্বার গতিতে অগ্রসর হতে থাকে প্রিয় জন্মভূমি স্বাধীন করতে।
যুদ্ধ কি জিনিস তা বুঝে ওঠার আগেই ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের কিশোর ছেলেটিও ঘর থেকে পালিয়ে যায় যুদ্ধের নেশায়। মুক্তিযুদ্ধের দুর্বিসহ সেই স্মৃতি মনে পড়লে এখনো আঁতকে ওঠেন বলে-জানান রনাঙ্গণের এই সৈনিক।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই দেশ আজ উন্নয়নের মাইল ফলকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তাই লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি বলে জানান রনাঙ্গণের বীর যোদ্ধারা।
বিপুল দেব রায়