জাওয়াদের প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে শীতের তীব্রতা : ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর জেরে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
গেলো রাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। উপকূলীয় এলাকায় ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সকল মাছ ধরা সকল ট্রলার সমূহকে নিরাপাদ আশ্রয়ে থাকবে বলা হয়েছে। প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে পিরোজপুরে আবহাওয়ার গুমোট হয়ে আছে। ফলে সন্ধ্যা রাতে কিছুটা ঠান্ডা থাকলেও মধ্য রাত থেকে ভ্যাপসা ঘরম পড়ছে। পিরোজপুরে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে । জারি করা হয়েছে সতর্ক সংকেত।
৪ ডিসেম্বর আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০২ ( দুই ) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে । উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে । তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হলো।
অন্যদিকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের বন্যা উপকূলবাসীকে আজও কাঁদাচ্ছে। তবুও স্থায়িত্ব ও মজবুত বেরিবাধ নির্মাণ হয়নি সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। বন্যার কোন আভাস ছাড়াও গুড়ি বৃষ্টি ও বাতাসে উপকূলবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। উপকূলবাসী জানেন না এ আতঙ্ক থেকে কবে রেহাই পাওয়া যাবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ঝিনাইদহে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। গেল রাতে কয়েক দফায় বৃষ্টি হলেও সকালের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দেখা নেই সুর্যের। দিনভর বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন তারা। বৃষ্টির কারণে অনেককে দোকান-পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। বৃষ্টি হলেও স্বাভাবিক রয়েছে দিনের তাপমাত্রা।