০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আবরার হত্যা মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের সংগে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করেছিলেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এতে ছাত্রলীগের চরম আক্রোশের শিকার হন তিনি। ওই রাতেই তাকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর আবরারের মরদেহ ধরাধরি করে কড়িডোরে ফেলে রাখার দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ফুঁসে ওঠে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। পরে, আবরার ফাহাদের বাবা চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

ওই দিন মধ্যরাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নাম্বার রুম থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ির আঘাতে আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা। মেরে ফেলার পর আবরারের মরদেহ ঘাতকদের ধরাধরি করে নামানোর দৃশ্যটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরদিন সিসি টিভির সেই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারাদেশ। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

ওই দিনই রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে উদ্ধার করা হয় আবরারের মরদেহ।

ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে আরও ছয়জনের নাম যুক্ত হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আটজন।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। কয়েক দফা রায় পেছানোর পর বুধবার মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আবরার হত্যা মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

ভারতের সংগে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করেছিলেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এতে ছাত্রলীগের চরম আক্রোশের শিকার হন তিনি। ওই রাতেই তাকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর আবরারের মরদেহ ধরাধরি করে কড়িডোরে ফেলে রাখার দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ফুঁসে ওঠে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। পরে, আবরার ফাহাদের বাবা চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

ওই দিন মধ্যরাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নাম্বার রুম থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ির আঘাতে আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা। মেরে ফেলার পর আবরারের মরদেহ ঘাতকদের ধরাধরি করে নামানোর দৃশ্যটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরদিন সিসি টিভির সেই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারাদেশ। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

ওই দিনই রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে উদ্ধার করা হয় আবরারের মরদেহ।

ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে আরও ছয়জনের নাম যুক্ত হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আটজন।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। কয়েক দফা রায় পেছানোর পর বুধবার মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।