সীমান্ত হত্যার মরদেহ ফেরৎ না দেয়ার রীতি বানিয়েছে বিএসএফ
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৭২১ বার পড়া হয়েছে
সীমান্তে হত্যার পর মরদেহ ফেরৎ না দেয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে বিএসএফের। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে নওগাঁ সীমান্তের বাসিন্দারা। সময়মতো তথ্য জানায় না উল্লেখ করে, এজন্য হত্যার শিকার পরিবারগুলোকে দায়ি করে, বিজিবি। প্রায় দেড় বছর আগে বিএসএফের গুলিতে নিহত সুভাষ চন্দ্রসহ আরও কয়েকটি মরদেহ আজও ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি নওগাঁর সাপাহারের হাপানিয়া কৃষ্ণস্বদা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন সালাউদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি।তবে তার মরদেহও ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। স্বজনরা বলছেন, শেষবারের জন্য সন্তানদের এক নজর দেখতে চান তারা। মাটি দিতে চান নিজ দেশে।
মুলত কৃষিকাজের প্রয়োজনে দুদেশের মানুষই যাতায়াত করেন সীমান্তে। সীমান্ত হত্যা ইস্যুতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আলোচনা হলেও বন্ধ হয়নি হত্যাকাণ্ড। বিজিবি বলছে, কেউ মারা গেলে তার তথ্য ঠিক মতো দেয়া হয় না প্রশাসনকে। ফলে মরদেহ ফেরৎ আনতে
সৃষ্টি হয় জটিলতা।
সম্প্রতি নওগাঁ সফরে এসে বিজিবি’র মহা পরিচালক বলেছেন, সীমান্তে যারা হত্যা হয়, তারা আসলে অসৎ উদ্দেশ্যেই সীমান্তে যায়। তবে বৈধ প্রয়োজনে যারা ওপারে যান তাদের জন্য আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ভারত সরকারকে।
তথ্য অনুযায়ী গত ৩ বছরে নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং আটক হয়েছেন ১১ জন। সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে সীমান্ত বাসীরা।