পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের চেষ্টা চলছে যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকায়
- আপডেট সময় : ০৬:২১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
নিশ্চিত লোকশান জেনেও বিলে জমে থাকা পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের চেষ্টা চলছে যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকায়। তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুরের বিভিন্ন বিলে শ্যালোমেশিন দিয়ে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে এ সেচ কাজ করছেন কৃষকরা।
সার, কীটনাশক, বীজ ও ডিজেলের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির পর তেমন লাভ হয়না বোরো ধান আবাদে। তার ওপর ভবদহের তিন উপজেলার অধিকাংশ বিলে পানি জমে থাকায় পানি সেচ দিয়ে আবাদ করতে খরচ আরো বেড়ে নিশ্চিত লোকশানের আশংকায় চাষীরা। এদিকে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় আর কোন ফসল না ফলাতে পেরে বাধ্য হয়ে বোরো আবাদ করতে বিভিন্ন বিলে সেচ কাজ শুরু করেছেন চাষীরা। ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিনে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় সেচ শেষ করে বোরো আবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
ভুক্তভোগি চাষীরা বলছেন, গত ৫ বছর ধরে সেচ দিয়ে কোন প্রকারে বোরো আবাদ করলেও আর কোন ফসল ফলাতে পারছেন না তারা। এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বেও ফসলহীনতার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমন দশা থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী সমাধানের দাবি তাদের।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, ভবদহে সেচ দিয়ে কিছু জমি বোরো আবাদের আওতায় আনা গেলেও অধিকাংশ জমিতে পানি থাকায় ফসল আবাদ করা যাচ্ছে না। চাষ নির্ভর ওই এলাকার আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে জমিগুলো সেচের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
প্রতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে পরবর্তী প্রায় ৭ মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয় ভবদহ। এ বছরও প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে এখনও পানি জমে আছে। যার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি।