ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ শুরু হলে এটা হবে ‘৪০-এর দশকের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ
- আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৮২ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ শুরু হলে, এটা হবে ‘৪০-এর দশকের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। বিশ্লেষকদের ধারণা, যুদ্ধ লাগলে প্রাকৃতিক গ্যাসকেই বড় অস্ত্র বানাতে পারে মস্কো। এতে জ্বালানির সরবরাহ নিয়ে গোটা মহাদেশেই তৈরি হয়েছে চাপা আতঙ্ক। তুরস্ক ও মিশরে খাদ্য সংকটের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে…. রাশিয়ার হামলা যখন তখন। দু’দেশে যুদ্ধ বাঁধলে তা হবে ৪০’র দশকের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।
যুদ্ধ প্রতিহত করতে দফায় দফায় কূটনৈতিক বৈঠক করেও কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো।
ইউক্রেনে আগ্রাসন হলে প্রভাব শুধু ইউরোপই নয়, পড়বে পুরো বিশ্বে। প্রথমত, পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর নিষেধাজ্ঞার শিকার হবে রাশিয়া। দেশটির সাথে রাজনৈতিক কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারী এরইমধ্যে দিয়েছে ইউরোপ।এছাড়াও এর জন্য চড়া মূল্য গুনতে হবে পুতিন সরকারকে।
অন্যদিকে ভৌগলিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে ইউক্রেন। দেশটিকে কূটনৈতিক সহায়তা দেবে পশ্চিমা বিশ্বে। ন্যাটো তার অর্ন্তভূক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবে। এ জোটে যোগ দিতে পারে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডও।
ইউক্রেনকে তার ন্যাটো মিত্রদের থেকে বিভাজিত করতে ক্রেমলিনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র কী হতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশ্লেষকদের ধারণা প্রাকৃতিক গ্যাসকেই বড় অস্ত্র বানাতে পারে মস্কো।
রাশিয়া তাদের গ্যাস সরবরাহ ইউরোপে বন্ধ করে দিলে বিপত্তিতে গোটা মহাদেশ। বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে। কেননা, রাশিয়ার গ্যাসলাইন ইউক্রেনের ওপর দিয়েই ইউরোপে গেছে। ফলে জ্বালানির উৎস নিয়ে গোটা মহাদেশেই তৈরি হয়েছে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক।
২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযানে যুক্ত আছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে দেশটির ড্রোন রপ্তানি পড়বে হুমকির মুখে।
এছাড়াও রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের বড় দুটি শস্য রপ্তানিকারক দেশ। এ সংঘাতে বড় দুই গম আমদানিকারক দেশ তুরস্ক ও মিসর বড় ধরনের খাদ্যসংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীল হবে রাজনৈতিক অঙ্গণও। চীনের তাইওয়ান আক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে সীমান্ত সংঘাতে জড়িত দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বাড়বে সহিংসতার হারও