পাবনায় ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও মন ভালো নেই কৃষকের
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
পাবনায় আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও মন ভালো নেই কৃষকের। তাদের অভিযোগ, ভারসাম্যহীন বাজারে মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে আমদানি বন্ধ এবং কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজার মূল্য নির্ধারণের দাবি জানায় পেঁয়াজ চাষিরা।
পেয়াঁজ আবাদে অন্যতম উত্তরের জেলা পাবনায় এ বছর ৮ হাজার ৫শ’ ৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষক। তাই কুয়াশা ঢাকা শীতের ভোরে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত চাষীরা। আগাম জাতের এই পেঁয়াজ আবাদে স্বচ্ছলতার আশায় থাকেন চাষীরা। সেইসাথে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন উত্তরের জেলা পাবনার পেঁয়াজ চাষীরা। পেঁয়াজ বেচাকেনায় চাষী-পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম পাবনার হাটগুলো। বিঘা প্রতি ৫০ মণ উৎপাদন হলেও দাম পাচ্ছেনা চাষী। প্রথমদিকে, লাভের মুখ দেখলেও হাট-বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় কমে গেছে দাম। পাশাপাশি শ্রমিক, সার, বীজ, কীটনাশকের মুল্য বৃদ্ধিতে ভালো ফলনেও চাষীরা পড়েছেন লোকসানের দুঃশ্চিন্তায়।
মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসাথে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম। তবে কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজার মূল্য নির্ধারণ করা যায়কিনা সে বিষয় উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। লোকসান ঠেকাতে আপাতত বিদেশী পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ ও উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সরকারি বাজার মূল্য নির্ধারণ হবে এমনটাই প্রত্যাশা চাষীদের।