তীব্র আকার ধারণ করেছে পদ্মা পাড়ের ভাঙ্গন
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, বহলবাড়ীয়া ও ভেড়ামারা বাহিরচর ইউনিয়ন তিনটি পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে অবস্থিত। গত কয়েক মাসে আশপাশের প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে পদ্মা পাড়ে ভাঙ্গন। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নদী ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ ও বালু উত্তোলনের ফলে শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি হারিয়ে উপকূলের মানুষ এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণের কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এমন সবুজ বিস্তৃত ফসলে ভরা জমি ছিল কুষ্টিয়ার মিরপুরেরে তালবাড়িয়াসহ তিন ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রাম। গেল বর্ষায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ে। নির্ঘুম রাত কাটে স্থানীয় প্রায় ২০ হাজার মানুষের। বর্ষা কমার সাথে সাথে ভাঙ্গনও কমে আসে। গত দুই সপ্তাহে পদ্মায় পানি কমার সাথে সাথে এ ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে তালবাড়িয়াসহ নদী তীরবর্তি ৯ কিলোমিটার এলাকার ২শ’ বিঘা জমির ফসল নদী গর্ভে বিলীন। বসতবাড়ী, জমি হারিয়ে ভুমি ও গৃহহীন এখন হাজার হাজার মানুষ। নদী থেকে বালি উত্তোলন ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে প্রায় ৩শ’ মিটার নদী ভরাট করে বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর দক্ষিণ পাড়ের ভাঙন এমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক, শ্রমিকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী অবিলম্বে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার।
ভাঙ্গন দেখতে দলে দলে নারী-পুরুষ মোবাইল নিয়ে সকাল-বিকেল ভড়ি করছে প্রতিদিন।ভাঙ্গনের কবল থেকে বসতভিটা ও আবাদি জমি রক্ষায় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগের কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি। দাবী আদায়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ভূক্তভোগিরা।
শুস্ক মৌসুমে কেন এই ভয়াবহ ভাঙ্গন? এমন প্রশ্নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর উত্তর পাড়ে অবকাঠামো নির্মাণ, নদী থেকে বালু উত্তোলন ও নদীর বিপরিত মুখে জেগে ওঠা চরের কারণেই এমন ভয়াবহ ভাঙন। তবে ভাঙন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে একটি ডিপিপি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানালেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ।
নদীভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি নদীপাড়ের মানুষের।