এসএ এগ্রো ফিড কারখানায় কর্মসংস্থান বেড়েছে
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৬৯২ বার পড়া হয়েছে
একের পর এক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় রংপুর জেলা এখন কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর। পরিবর্তন এসেছে মানুষের জীবনযাত্রার মানেও। বদলে দেয়া রংপুরে এই উন্নয়নের অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম এসএ গ্রুপ। মিঠাপুকুরের জায়গীরহাটের এসএ এগ্রো ফিড জেলার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জিডিপিতেও অবদান রাখছে। শিগগিরই এ ধরনের আরও মেগা প্রজেক্টের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ
দেশে বর্তমানে প্রায় এক লাখের বেশি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। আর ছোট-বড় মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ২০৬টি নিবন্ধিত প্যারেন্টস্টক ফার্ম বা হ্যাচারি। এছাড়া সরকারের নানা উদ্যোগে গবাদি পশু এবং মৎস্য উৎপাদনেও এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ শিল্পের খাদ্য যোগান দিতে বর্তমানে দেশব্যাপী প্রায় ৮৫টি ফিড মিলও গড়ে উঠেছে। মানসম্পন্ন ফিড উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক বছর আগে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাটে এসএ এগ্রো ফিড লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়।
এ শিল্প কারখানাটির সুবিধা পাচ্ছে স্থানীয়রা। বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগে রংপুরের পোল্ট্রি ও গবাদী শিল্পের আরও উন্নয়ন হবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।
প্রতিষ্ঠানটি মানসম্পন্ন ফিড উৎপাদন করতে পারলে রংপুরের পাশাপাশি দেশেরও উন্নয়ন হবে বলে প্রত্যাশা জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের।
উচ্চমান সম্পন্ন জার্মান প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থাপিত এ শিল্প কারখানায় দৈনিক সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টন পোল্ট্রী, ফিশ ও ক্যাটল ফিড উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান ফ্যাক্টরি ম্যানেজার। বর্তমানে দেশব্যাপী ১৫৬টি ডিলার আছে জানিয়ে এসএ এগ্রো ফিডের মার্কেটিং বিভাগের ডিজিএম জানান, চলতি বছরে আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন, খামারীদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ মানের ফিড উৎপাদনই এসএ এগ্রো ফিড এর মূল লক্ষ্য।
এসএ এগ্রো ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের অনুপ্রেরণা থেকেই রংপুরে আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরী করেন তিনি।
ভবিষ্যতে দেশের পোল্ট্রী শিল্পের ফিড চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানীরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই শিল্পোদ্যক্তা।
বর্তমানে বেকার সমস্যা দূর করতে ফিড মিলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।