সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর, তদন্ত প্রতিবেদনে বারবার সময়ক্ষেপণ
- আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর আজ। তবে কী কারণে এবং কারা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি আজও। প্রতি মাসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের কাছে রেবের সময় চাওয়ার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে ডিএনএ থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ছবি প্রস্তুতের কাজ চলার কথা জানা গেছে। এর বাইরে আলোচিত এই হত্যা মামলার আর কোন অগ্রগতি নেই।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভি আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। সর্বশেষ ১৫ মাস আগে আদালতে মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে রেব। ওই প্রতিবেদনে রেব জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ আলামত যুক্তরাষ্ট্রে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে। সেই ডিএনএ থেকে খুনে জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে আটজনকে।
এদিকে.. সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যার এক দশকেও বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। গতাকাল রাতে ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচী শুরু হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী নির্মমভাবে খুন হন। এক দশক পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি। থমকে আছে বিচার প্রক্রিয়াও। সকালে ডিআরইউ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পরও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন রেবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
সকালে রাজধানীর মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এদিকে মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা মোহাম্মদ আব্দুল গনি ওরফে পিচ্চি মনির ও তার সহযোগী মো জুবায়ের হোসেনকে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেব। এসময়ে তার কাছ থেকে দুটি বিদেশী পিস্তল, গুলি ও বিভিন্ন রকম মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গেলো রাতে রাজধানীর হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রেব জানায়, মনির দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মাদক ইয়াবার পাশাপাশি নতুন মাদক আইস ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডিলারের মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছিলো। খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, পিচ্চি মনির নিজ গ্রাম শরীয়াতপুরে এক কোটি টাকা ব্যয়ে পিতার নামে একটি মাজার নির্মাণ করে তার আড়ালে মাদক ব্যবসার পরিকল্পনা করে।