উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে উদযাপন হচ্ছে বসন্ত উৎসব।
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে উদযাপন হচ্ছে বসন্ত উৎসব। পয়লা ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস দুটি উৎসব এক সঙ্গে হওয়ায় আনন্দের মাত্রা যেন বেড়ে গেছে বহুগুণ। ফাগুনকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজন করে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে পরিষদের আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বসন্ত আবাহন।
প্রকৃতি খুলে দিয়েছে দক্ষিণ দুয়ার, বইছে ফাগুন হাওয়া। আগমনী, আগুনরাঙা বসন্তের। যে বাসন্তী উৎসবের শুরু সুরে, গানে, ও নাচে। ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতিও আজ বর্ণিল রঙে সেজেছে।
বেঙ্গল মিউজিক’ এর বাদ্য পরিবেশনার মাধ্যমে সোমবার সকালে সাড়ে সাতটা থেকে পরিষদের আয়োজনে মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বসন্ত আবাহন। বসন্তের এই আবাহন চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
নিজেদের রাঙিয়ে নৃত্যে , বাদ্যে, ছন্দে-গীতে বসন্তকে বরণ করে নিতে ছিলো কিছুটা কার্পণ্য। কারণ মহামারী করোনা। তবু ভীতিকে দূরে সরিয়ে রাজধানীতে ফাগুনকে বরণ করে নিতে উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ।
লাল, হলুদ, বাসন্তী রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবী এবং রঙিন ফুলে সেজে বর্ণিল নানা বয়সের মানুষ হাজির হন। মন মাতানো গান আর নৃত্য পরিবেশনায় মেতে ওঠেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আয়োজকরা জানান আবারো সেই বকুলতলায় ফিরে যেতে চাই।
গত দু’বছর ধরে ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন একই দিনে উদযাপিত হচ্ছে। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে বসন্ত উৎসবে শামিল হন তরুণ তরুণীরা।
এই করোনা মহামারীর মধ্যেও মানুষের এই আগমন জানান দেয় বাঙালি উৎসবমুখর জাতি। গান, নাচে ভরপুর মুক্ত মঞ্চ।
একটি বাঙালি সংস্কৃতি যা প্রকৃতিকে বরণ করার। অন্যটি ভিন্ন সংস্কৃতির। আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দিন। এবার দুইই মিলেমিশে একাকার। আর এ কারণে অনেকের কাছে আনন্দও আজ দ্বিগুণ।