কিয়েভে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পুতিনবাহিনী
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন বাহিনী। এ তথ্য জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর। বলেন সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে এবং শহরকে শত্রুদের হাত থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা হচ্ছে। কিয়েভে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে রুশ সৈন্যরা। ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আনুমানিক ৪ হাজার ৩০০ রাশিয়ান সৈন্যকে হত্যা করেছে তাদের বাহিনী। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত তার দেশ। তবে বেলারুশে নয়। অন্য যে কোন দেশে।
ইউক্রেনের সেনা ও সাধারণ মানুষের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। তারপরেও দেশ রক্ষায় রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসার কথা ছিলো ইউক্রেনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে দেয় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রুশ সরকার দেয় নতুন নির্দেশনা। এরপরেই ৪র্থ দিনেও আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী।
কিয়েভের কাছে ভ্যাসিলকিভ শহরের এক তেলের ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীজুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা পরিষেবা জানিয়েছে, রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের খারকিভ শহরে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে। পাইপলাইনটি শহর বা দেশের বাইরে গ্যাসের চালানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বলে দাবি করছে ইউক্রেন।
জাতিসংঘ তথ্য মতে, আক্রমণ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে কমপক্ষে ২৪০ জন সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তারা আরো বলেছে, বাস্তব পরিসংখ্যান আরো বেশি হতে পারে।
ফ্রান্সের পর ইউক্রেনকে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরও কয়েকটি দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাবে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন মিসাইল, প্লেন-বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও বডি আর্মার। জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার ট্যাংক-বিধ্বংসী গ্রেনেড লঞ্চার এবং ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ৫০০টি স্টিংগার মিসাইল ইউক্রেনকে দিচ্ছে জার্মানী।
যুদ্ধের মধ্যে সবচে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। দিশেহারা হয়ে ছুটছেন এদিকসেদিক। কিয়েভ বাসিন্দারা আশ্রয় খুঁজছেন। এরই মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার ইউক্রেনের নাগরিকদের মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানাবে সংস্থাটি।
এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা নাস্তানুবাদ রাশিয়া। সর্বশেষ শনিবার আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্টের রুশ ব্যাংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।