ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে স্কুল ও আবাসিক এলাকায় রুশ বাহিনীর হামলা
- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
- / ১৬২৬ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়ার হামলার অষ্টম দিন গতকালও সহিংসতায় কোনো বিরতি ঘটেনি। দফায় দফায় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে কিয়েভ সহ আশেপাশের এলাকা। এদিকে, ইউক্রেনের স্নাইপার হামলায় নিহত হয়েছেন রাশিয়ান মেজর জেনারেল আন্দ্রে সুখোভেটস্কি। ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল় চেরনিহিভের স্কুল ও বহুতল আবাসিক এলাকায় রুশ বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৮ জন।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক আগ্রাসন শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে নবম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। রুশ আক্রমন শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত হামলা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। এবার চেরনিহিভ শহরের স্কুল ও বহুতল আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৮ জন।
এদিকে ইউক্রেনের স্নাইপার হামলায় গতকাল নিহত হন রাশিয়ান মেজর জেনারেল আন্দ্রে সুখোভেটস্কি। তার মৃত্যু রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিষেশজ্ঞরা।
রুশ বাহিনীর গোলায় ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে গেছে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পার্শবর্তী শহর এনারগোদারের মেয়র দিমিত্রো অরলভ বলেছেন, ভোরের দিকে রুশ বাহিনীর হামলায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন লাগে। এদিকে হামলার পরই জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকের আহবান জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে..ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ থেকে ২৮ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহত প্রকৌশলীর মরদেহও সংরক্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান।
বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর খুলতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের দ্বিতীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে, বৈঠক থেকে ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় ফলাফল আসেনি এখনও।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় এরইমধ্যে অন্তত তিনবার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে। । ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দুটি ভাড়াটে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জেলেনস্কিকে তিনবার হত্যার চেষ্টা করে। তবে পরিকল্পনা সফল হয়নি। জানা যায়, রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করাই হবে সবচেয়ে বড় মিশন। এটা যুদ্ধের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।