ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো এখনো ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী
- আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
- / ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা গড়িয়েছে ১৪তম দিনে। রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো বর্তমানে ঘিরে রেখেছেন রুশ সেনারা। শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে, রাশিয়ার দাবিগুলো সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উন্মুক্ত আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। ফলে যুদ্ধ সমাপ্তিতে আর দেরী নেই বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ন্যাটো এখন ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেবে না– এমন তথ্য আসার পরই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে বিধ্বংসী যুদ্ধের মধ্যে নরম সুরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার জন্য তিনিও আর চেষ্টা করবেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া, দোনেস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার বিষয়েও ছাড় দিতে রাজি আছেন তিনি। এ সময় ন্যাটোর সদস্যপদের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন কোনো প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যাকে হাঁটু গেঁড়ে অন্যের কাছে কিছু ভিক্ষা চাইতে হয়।
ইউক্রেনের সুমি শহরে গভীর রাতে একটি আবাসিক ভবনে প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের একটি বড় বোমা হামলা চালানো হয়। এতে দুই শিশুসহ ২১ জন নিহত হন।
রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বেশকিছু শহর থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরে যাবার সুযোগ দিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে আছে রাশিয়া ও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ি এ পর্যন্ত ২০ লাখ লোক ইউক্রেন ছেড়েছেন। তবে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ- বেসামরিক নাগরিকদের দেশত্যাগে বাধা দিয়ে তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার।
রাশিয়া থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে। এ তালিকায় এবার যোগ দিয়েছে কোমল পানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- কোকাকোলা ও পেপসি। এক বিবৃতিতে রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করে ইউক্রেনের মানুষের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলোতে রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২ হাজার ৫৮১ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। আর, ইউক্রেনের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১২ হাজার সেনাকে হত্যা করেছে। এছাড়া রুশ বাহিনীর যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, ও হেলিকপ্টার সহ হাজারের বেশি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে তারা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ১৪তম দিনে, দেশটিতে ৪৭৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও অশান্তিপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। গতকাল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান।