মানচিত্র থেকে উঠে যাচ্ছে খুলনার নদ-নদীর অস্তিত্ব : দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালী রাজনীতিকরা
- আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
খুলনার খরস্রোতা নদ-নদীগুলো এখন দখল-দূষণে বিপন্ন। উজানের পলি জমে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ, জেগে উঠেছে চর। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নদ-নদীর অস্তিত্ব। কোথাও কোথাও ভরাট করে প্রভাবশালী রাজনীতিকরা ওই জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় দখলদারিত্ব বেড়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক সময়ের নদীকেন্দ্রিক জীবিকায় নিভর্রশীলরা এখন পেশা বদলে অচেনা পেশায় টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত।বেশির ভাগ নদ-নদীই অবৈধ দখল,পলি পড়া ও সংস্কারবিহীন অযত্নে ভরা যৌবন হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হচ্ছে। খুলনার ডুমুরিয়া, তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নে নদী দখল করেছন ক্ষমতাসীনরা।
খুলনা ডুমুরিয়র ভদ্রা-শালতা নদী ঘিরে ১৫ বছর আগেও হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা চলতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও নানা প্রতিকুলতার মুখে ভদ্রা ও শালতা নদীতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পলিপড়ে নাব্য হারিয়ে ভরাট হয়ে যায়। আর এই সুযোগে প্রভাবশালীরা যে যার ইচ্ছে মত নদী দখল করে নেয়। ফলে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কতগুলো দখলকৃত ইটভাটা আছে তার জরিপ প্রস্তুত করে মোবাইল কোর্টর মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানায়,পানি উন্নয়ন বোর্ড।আর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে দখলদারদের তালিকা করে অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান,পরিবেশ অধিদপ্তরের এই পরিচালক।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দিন দিন দখলদারিত্ব বেড়ে চলেছে….. বলছেন, নাগরিক নেতারা।
শুধু আইন প্রণয়ন নয় অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগেরও দাবি স্থানীয়দের।