ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ আশপাশের শহরগুলোতে রুশ হামলা অব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২
- / ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনে প্রতিদিনই জোরদার হচ্ছে রুশ হামলা। একের পর এক গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে রাজধানী কিয়েভসহ আশেপাশের শহরগুলোতে। প্রতিনিয়ত মরছে মানুষ। হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোও। এদিকে, রুশ হামলায় এবার এক মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। অন্যদিকে, চীন বলছে বিপদকালে ইউক্রেনের পাশে থাকবে তারা।
ইউক্রেনের মেরেফায় গতকাল একটি স্কুল ও একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হামলা চালায় রুশবাহিনী। এতে ২১ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোলার আঘাতে ভবনটির মাঝখানে ভেঙে গেছে। ভবনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিতে দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে ৫২ শিশুসহ ৭০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো নিরাপত্তা পরিষদে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের চেহেরনিভে রুশ বাহিনীর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে জেমস হুইটনি হিল নামে এক মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর জানানো হয়।
এদিকে, কিয়েভে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ফ্যান জিয়ানরং বলেছেন, চীন কখনোই ইউক্রেন আক্রমণ করবে না। রাশিয়া চীনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য চাচ্ছে এমন রিপোর্টের পর তিনি এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের এ খারাপ সময়ে আমরা সাহায্য করব, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে। ইউক্রেনের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে চীন।
১৫ রাশিয়ান ব্যক্তি ও ৯টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে জাপান। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন রুশ উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইগর কস্ত্যুকভ। অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরোন এক্সপোর্টকেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
যুদ্ধে কর্মরত উদ্ধারকর্মী ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যদের সম্মান জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। কঠিন সময়ের মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সবকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বৃহস্পতিবার কিয়েভে ছোট্ট পরিসরের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই সম্মান দেয়া হয়। এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ফ্রন্টলাইনে কর্মরতদের উৎসাহ দিতেই সরকারের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। খুব শিগগিরই ইউক্রেনে শান্তি ফিরবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।