রাজধানীতে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ; আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে রোগী ভর্তির রেকর্ড
- আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
- / ১৫৮২ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীতে হঠাৎ করে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডায়রিয়া। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সি রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল। ভেতরে স্থান সংকুলন না হওয়ায়, হাসপাতালের বাইরে তাবু টানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৫ মার্চ থেকে রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে রোগীর সংখা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনদের দাবি, পরিবর্তিত আবহাওয়া আর ওয়াসার দুষিত পানির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ -আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের চিত্র এটি। ৩০০ রোগী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হাসপাতালটিতে এখন রোগীর সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি। প্রতি ঘন্টায় ৬০ থেকে ৬৫ জন করে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাইরে তাবু টানিয়েও হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা।রোগীর স্বজনদের দাবি, ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি ওয়াসার দুষিত পানির কারণেই হঠাৎ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারনে মার্চের শেষে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়লেও এবার ছাড়িয়েছে অতিতের সব রেকর্ড। এক সপ্তার ব্যবধানে অনেকে দুই থেকে তিন বার করেও আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়।
আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৬০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের ২৩ শতাংশই তীব্র ডায়রিয়া আর কলেরায় আক্রান্ত।
সট: ডা. মোশতাক পারভেজ, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, আইসিডিডিআরবি।
আইসিডিডিআরবির পরিসংখ্যন বলছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক ৪৮০ থেকে ৫ শো রোগী আসতো।
দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সংখ্যা বেড়ে ৬শো ছাড়ায়। আর ১৫ মার্চের পর সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে। ১৭ মার্চ থেকে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ২৩ মার্চ রোগীর সংখা ছিল ১ হাজার ২ শ ৩৩ জন।
আপস..