ভয়াল গণহত্যা স্মরণে ১ মিনিট অন্ধকারে সারাদেশ
- আপডেট সময় : ১০:২২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
২৫ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক নৃশংসতম দিন। ১৯৭১ সালের এদিনশেষে এক ভয়াল বিভীষিকাময় রাত নেমে এসেছিল ঢাকায়। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপারেশন সার্চলাইট চালায় দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর। তাই ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। গণহত্যা দিবসে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে।
সত্তোরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে টালবাহানা করতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তান। এমন পেক্ষাপটে ৭১ এর ৭ মার্চ সর্বস্তরের বাঙালিকে সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
আর পাকিস্তানের শাসকরা গোপনে প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি নিধনে। এ ধারাবাহিকতায় ২৫ মার্চ কাল রাতে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে চালানো হয় অপারেশন সার্চলাইট। রক্তের বন্যা রচনা করা হয়। হত্যা করা হয় লক্ষাধিক মানুষকে।
পাকিস্তানি সেনাদের বেশি আক্রোশ ছিল ছাত্র সমাজের উপর। তাই হামলা চালানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। এ সময় নিরস্ত্র ছাত্রদের লাইনে দাঁড় করিয়ে চলে হত্যাযজ্ঞ।
সেই রাতেই গ্রেফতার করা হয় বাঙালির অবিসংবাধিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালীরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে উদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।ইতিহাসের এই বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের দিনটি বিশ্ব গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের দাবি রাখে বলে জানান বিশিষ্টজনরা।