জার্মানির বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পৌঁছেছে
- আপডেট সময় : ০৮:১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
- / ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে
বেছে বেছে ইউক্রেনের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ পর্যন্ত এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর ৭০টির বেশি হামলা হয়েছে বলে দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা–ডব্লিউএইচও। এ হামলা ক্রমেই বাড়ছে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থা। ডব্লিউএইচও বলছে, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিষেবাগুলোকে ধ্বংস করাই রুশ রণকৌশলের অংশ। এদিকে, জার্মানির এক হাজার ৫০০ স্ট্রেলা বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০ এমজি৩ মেশিনগানের চালান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরবরাহে দেরি হলেও ক্ষেপণাস্ত্রের আরও একটি চালান ইউক্রেনের পথে রয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা দ্বিতীয় মাসে গড়িয়েছে। একদিকে চলছে ইউক্রেনের সেনাদের তীব্র প্রতিরোধ, অন্যদিকে দেশটির বিভিন্ন শহর ধ্বংশস্তুপে পরিণত হচ্ছে রাশিয়ার বোমা হামলায়। এ যেন পোড়া মাটি নীতি অবলম্বন করছে পুতিন বাহিনী।
এবার রুশ বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের বৃহত্তম জ্বালানি তেল শোধানাগার। ক্রজ ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। এতে পুরো পুরি ধ্বংস হয়ে যায় দেশটির জ্বালানী উৎপাদন ব্যবস্থা।
এছাড়াও ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিন্নিতসিয়ায় দেশটির বিমান বাহিনীর একটি কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার রুশ বাহিনীর ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এই কমান্ড সেন্টারটিতে আঘাত হানে।
এদিকে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে গত এক মাসে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা । আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮২৫ জন। শুক্রবার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় এ তথ্য। যদিও ইউক্রেনের দাবি প্রায় ১৬ হাজার রুশ সৈন্যের প্রাণ হানি হয়েছে।
এছাড়াও রাশিয়া জানায়, বিশেষ অভিযানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রুশ সেনাবহর। দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছে শক্ত অবস্থান। খেরসন শহরে রয়েছে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া জা-পোর-জাইয়া শহরের প্রায় ৯০ ভাগ বর্তমানে রুশ সেনাদের দখলে। সেখানে রয়েছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
ইউক্রেনে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে রাশিয়ার সেনাপ্রধান ভালেরি গেরাসিমভ জানান, তাঁদের যুদ্ধের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল। এ অঞ্চলের রুশপন্থী বিদ্রোহীরা স্বাধীনতার দাবিতে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই লড়াই করে আসছিল।
শুক্রবার এক বৈঠক রুশ সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার এখন যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসকে ‘পুরোপুরি মুক্ত’ করা।
এবার ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির সংবাদ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার নতুন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অনুমোদন পাওয়া আইনে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছরের জেল হবে।