ময়মনসিংহে কয়েকশ’ বছর ধরে সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে বিখ্যাত লাল চিনি

- আপডেট সময় : ০৩:২০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
- / ১৫৯৭ বার পড়া হয়েছে
কোনো ধরণের কেমিক্যাল ছাড়াই ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় কয়েকশ’ বছর ধরে কৃষকের হাতে সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে বিখ্যাত লাল চিনি। হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মাধ্যমে সুস্বাদু এ চিনি উৎপাদন করে পরিবারের ভরনপোষণ করছেন কৃষকরা। লাল চিনি উৎপাদনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। আখ চাষীদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে স্খানীয় কৃষি বিভাগ।
লাল চিনি দিয়ে বানানো পিঠা, নাড়ু, মোয়া, ক্ষীর, মিঠাই খেতে ভারি সুস্বাদু। এ উপজেলায় এখনো নতুন জামাইকে লাল চিনির গরম ক্ষীর ও মোয়া দিয়ে আপ্যায়ণ করার রেওয়াজ আছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা এ চিনি কিনে নিয়ে বিক্রি করেন।
আখ কেটে ইঞ্জিনচালিত মেশিন দিয়ে রস বের করা হয়। এরপর ড্রামে করে রস নিয়ে জ্বালঘরের ভেতরে ৮ থেকে ১০টি চুল্লিতে বড় লোহার কড়াইয়ে রস ঢেলে আগুনে জ্বাল করা হয়। কাঁচা রস ঘণ্টাখানেক জ্বাল দেয়ার পর তা ঘন হয়ে এলে কড়াই নামিয়ে কাঠের তৈরি হাতল দিয়ে গরম রসে দ্রুত ঘর্ষণ করা হয়। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে সেই রস জমতে থাকে। দ্রুত ঘর্ষণের ফলে একপর্যায়ে বালুকণার মতো হয়ে লাল চিনিতে রূপ নেয়। বর্তমানে আখ থেকে রস সংগ্রহ করে চিনি উৎপাদন করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষীরা।
আখের উন্নত জাত দিয়ে চাষীদেরকে সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
উৎপাদনের সনাতন পদ্ধতি থেকে এটিকে কিভাবে আরও আধুনিক এবং মানসম্পন্ন করা যায় সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।