গুদামে নিত্যপণ্যের মজুদ উপচে পড়লেও বেচাকেনা নেই খাতুনগঞ্জে
- আপডেট সময় : ০২:০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদামে রমজানের নিত্যপণ্যে ভরা। কিন্তু বেচাকেনা খুবই কম। গেল ১৫ দিনের ব্যবধানে তেল চিনিসহ দাম কমেছে প্রতিটি পণ্যের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার ধাক্কা বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণেই স্থবিরতা নেমেছে বাজারে। এভাবে চললে রমজানের পর আবার বাজারে অস্থিরতার আশংকা করছেন তারা। আর ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেলের কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন খাতুনগঞ্জ থেকে।
খাতুনগঞ্জের আড়াই হাজার দোকান ও গুদামের চিত্র এখন এমন। প্রতিটি গুদামেই নিত্যপণ্যে মজুদ যেন উপচে পড়ছে। আসছে রমজানকে উপলক্ষ্য করে বিপুল পরিমান এই পণ্য আমদানী করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন সে আশায় গুড়ে বালি।
গুদাম ভরা পণ্য থাকলেও ক্রেতা নেই বাজারে। এমনকি লোকশান দিয়েও পচনশীল পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
রমজানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের মধ্যে খেজুর, ছোলা, বিভিন্ন ধরণের ডাল ও মশলা অন্যতম। গেল ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দামও কমেছে ।
তবে ভোজ্যতেলের ভেল্কিবাজি এখনো চলছে। ক’দিন আগে আনেকখানি বাড়িয়ে এখন কিছুটা কমিয়েছে কথিত সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীদের দাবি কৃত্তিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে লাভের পুরোটাই হাতিয়ে নেয় মিলার ও অসাধু আমদানীকারকরা।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেলে ১৩ টনের বাধ্যবাধকতার কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে খাতুনগঞ্জ।
১০ বছর আগেও সারা দেশের নিত্যপণ্যের বাজারের অন্তত ৮০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ হতো এই খাতুনগঞ্জ থেকে। কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে ৫০ শতাংশের নিচে।