০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

দর্শনায় ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ কারখানায় তৈরি হচ্ছিল ভেজাল মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি ওষুধ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠান্ডা-শ্বাসকষ্ট ও গ্যাসট্রিকের চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি তৈরিতে আটা-ময়দা এবং রং ব্যবহার করা হতো বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল নামের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানায় ট্যাবলেট দুটি তৈরি হচ্ছিল। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার এ সব তথ্য জানান। ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে কারখানা মালিকসহ দুই জনকে গ্রেফতার ও এক কোটি টাকা দামের নকল ওষুধ জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা থেকে এসব নকল ওষুধ আনা হতো রাজধানীর মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেটে। এরপর ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ও কুরিয়ার সার্ভিসে ছড়িয়ে দেয়া হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওষুধের দোকানে।

ভেজাল ওষুধ খুঁজে বের করতে রাজধানীর চকবাজার, ফকিরাপুল ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এতে পাইকারি বিক্রেতা আলী আক্কাস শেখ ও ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালের মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি ট্যাবলেট ও ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-টেন ট্যাবলেট।

চকবাজারের একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে নকল ওষুধ মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টির বড় চালান আটক করে লালবাগ ডিবি। এসময় আলী আক্কাস শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, তার দেয়া তথ্যে ফকিরাপুল থেকে ওষুধ কারখানার মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দর্শনায় গিয়াসের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির আড়ালে বহুল প্রচলিত ওষুধ নকল তৈরি করা হয়।

ডিবি জানায়, এসব নকল ওষুধ সেবনে কোনো ধরনের উপকার তো হয়ই না, উল্টো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

এসব ভেজাল ওষুধ সেবনে শরীর বিকলাঙ্গ থেকে শুরু করে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দর্শনায় ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ কারখানায় তৈরি হচ্ছিল ভেজাল মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি ওষুধ

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

ঠান্ডা-শ্বাসকষ্ট ও গ্যাসট্রিকের চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি তৈরিতে আটা-ময়দা এবং রং ব্যবহার করা হতো বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল নামের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানায় ট্যাবলেট দুটি তৈরি হচ্ছিল। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার এ সব তথ্য জানান। ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে কারখানা মালিকসহ দুই জনকে গ্রেফতার ও এক কোটি টাকা দামের নকল ওষুধ জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা থেকে এসব নকল ওষুধ আনা হতো রাজধানীর মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেটে। এরপর ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ও কুরিয়ার সার্ভিসে ছড়িয়ে দেয়া হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওষুধের দোকানে।

ভেজাল ওষুধ খুঁজে বের করতে রাজধানীর চকবাজার, ফকিরাপুল ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এতে পাইকারি বিক্রেতা আলী আক্কাস শেখ ও ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালের মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টি ট্যাবলেট ও ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-টেন ট্যাবলেট।

চকবাজারের একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে নকল ওষুধ মোনাস-টেন ও প্যানটোনিক্স-টুয়েন্টির বড় চালান আটক করে লালবাগ ডিবি। এসময় আলী আক্কাস শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, তার দেয়া তথ্যে ফকিরাপুল থেকে ওষুধ কারখানার মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দর্শনায় গিয়াসের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির আড়ালে বহুল প্রচলিত ওষুধ নকল তৈরি করা হয়।

ডিবি জানায়, এসব নকল ওষুধ সেবনে কোনো ধরনের উপকার তো হয়ই না, উল্টো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

এসব ভেজাল ওষুধ সেবনে শরীর বিকলাঙ্গ থেকে শুরু করে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।