দফায় দফায় অনাস্থা প্রস্তাবে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে তেহরিক ই ইনসাফ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
দফায় দফায় অনাস্থা প্রস্তাবে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ…পিটিআই। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে আজকের অধিবেশনে এ বিষয়ে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ভোটে পরাজিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খানের। হারলে তিনিই হবেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।
করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্ব যখন টালমাটাল। তখন চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
রাজনৈতিক সংকটে চলতি মাসের শুরুতে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ…পিটিআই। এ নিয়ে দফায় দফায় টানাপোড়নে চলে ইমরানের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের দৌড়। গেলো বৃহস্পতিবার এই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার।
পরে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে বিরোধীদল। সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে রায় দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদেশে বলা হয়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ফলাফল না দিয়ে অধিবেশন শেষ করা যাবে না। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অনাস্থা ভোটের নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে শরিকরা সরে যাওয়ায় পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত পিটিআই জোটের।
অনাস্থা ভোটে পরাজিত হলে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে কারাদণ্ড হতে পারে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ও পিটিআই প্রধান ইমরান খানের। এই আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গণ আবার সরব হয়ে উঠবে।
এদিকে, শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেন, বিদেশী শক্তি তার সরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে নামানোর চেষ্টা করছে এবং তা কার্যকর করতে ব্যবহার হচ্ছেন পাকিস্তানের আইন প্রণেতারা। বিদেশী শক্তিগুলো একজন নমনীয় প্রধানমন্ত্রী চায় এবং সে কারণেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চলছে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইমরান খান গেলো রাতে “আমদানি করা সরকারের” বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের
জনগণকে। রোববার তার সমর্থকদের রাস্তায় নামতে বলেছেন তিনি।
ভোটে ইমরান খান হেরে গেলে তিনিই হবেন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে। বিরোধীরা তখন তাদের মনোনীত একজনকে প্রধানমন্ত্রী করে আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানে নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।