০৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট রাতে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবারও বসছে ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারনী অধিবেশন। রাত ৮টায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোট হবার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বিকেলে অধিবেশনে দ্বিতীয় দফায় নিজের বক্তব্য পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই তারা ইমরানকে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত করার প্রস্তাবও দেন তিনি।

২২ গজের ক্রিজ হলে হয়তো মাঠেই থাকতে হতো সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে। কিন্তু এতো রাজনৈতিক খেলা, যেখানে কখনো কখনো মাঠে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আর তাইতো ভাগ্য নির্ধারণী অধিবেশনে যখন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনুপস্থিত খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে সকালে শুরু হয় জাতীয় অধিবেশন। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না করেই অধিবেশনের মুলতবি টানেন স্পিকার আসাদ কায়সার। অধিবেশনের শুরুতে সংসদে কথা বলেন বিরোধীদল ও সরকারী দল।

এরপর ৮ ঘন্টার বিরতি শেষে সন্ধ্যায় আবারও বসতে যাচ্ছে অধিবেশন। ইমরান অনুসারীরা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার পিছনে ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাই এই আলোচনা তাঁর কাছে অর্থহীন।

যদিও বিরোধীদের দাবি, হার নিশ্চিত জেনেই তিনি কক্ষের আলোচনা থাকছেনে না।

তবে আলোচনার সময় অ্যাসেম্বলিতে না গেলেও, অধিবেশন শুরুর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী দলীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অধিবেশন চলাকালীন শাসকদলের ৩০ জনকে কক্ষের ভিতরে দেখা যায়। আর ইমরান খান যান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করতে। পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন জোট প্রধান শাহবাজ শরীফসহ বিরোধী নেতারা।

ভোটে ইমরান খান হেরে গেলে তিনিই হবেন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট রাতে

আপডেট সময় : ০৭:১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

আবারও বসছে ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারনী অধিবেশন। রাত ৮টায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোট হবার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বিকেলে অধিবেশনে দ্বিতীয় দফায় নিজের বক্তব্য পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই তারা ইমরানকে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত করার প্রস্তাবও দেন তিনি।

২২ গজের ক্রিজ হলে হয়তো মাঠেই থাকতে হতো সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে। কিন্তু এতো রাজনৈতিক খেলা, যেখানে কখনো কখনো মাঠে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আর তাইতো ভাগ্য নির্ধারণী অধিবেশনে যখন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনুপস্থিত খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে সকালে শুরু হয় জাতীয় অধিবেশন। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না করেই অধিবেশনের মুলতবি টানেন স্পিকার আসাদ কায়সার। অধিবেশনের শুরুতে সংসদে কথা বলেন বিরোধীদল ও সরকারী দল।

এরপর ৮ ঘন্টার বিরতি শেষে সন্ধ্যায় আবারও বসতে যাচ্ছে অধিবেশন। ইমরান অনুসারীরা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার পিছনে ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাই এই আলোচনা তাঁর কাছে অর্থহীন।

যদিও বিরোধীদের দাবি, হার নিশ্চিত জেনেই তিনি কক্ষের আলোচনা থাকছেনে না।

তবে আলোচনার সময় অ্যাসেম্বলিতে না গেলেও, অধিবেশন শুরুর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী দলীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অধিবেশন চলাকালীন শাসকদলের ৩০ জনকে কক্ষের ভিতরে দেখা যায়। আর ইমরান খান যান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করতে। পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন জোট প্রধান শাহবাজ শরীফসহ বিরোধী নেতারা।

ভোটে ইমরান খান হেরে গেলে তিনিই হবেন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।