দেশে বিদেশী অস্ত্রের ব্যবহার কমেছে, বেড়েছে নৃশংসতা
- আপডেট সময় : ০৪:১১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
দেশে বিদেশী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার কমলেও হত্যাকান্ডের ঘটনা কমেনি; বরং বহুগুনে বেড়েছে নৃশংসতা। প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বিদেশী অস্ত্রের চেয়ে দেশি অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করাটায় এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব বন্ধে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা দরকার।
কক্সবাজারের চেরাংঘর স্টেশন বাজারে ইফতার কিনতে এসে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন মোর্শেদ নামের স্থানীয় এক যুবক। হামলার সময় ইফতার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার আকুতি জানিয়েও হত্যাকারীদের মন গলাতে পারেননি তিনি।
ক’দিন আগে চাঁদার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে যুবলীগের এক নেতা।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য এখন নিত্য দিনের ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশীয় অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নত করা হয়েছে। এখন তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব নৃশংসতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অধিকাংশের মাথার ওপর কোন না কোন রাজনৈতিক দলের আশির্বাদ রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জরুরী।
আর অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠোর হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরীতে আন্তরিক হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি দেশিয় প্রযুক্তিতে আগ্নেয়াস্ত্র বানানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তবে সবচেয়ে বেশী অস্ত্র তৈরী হচ্ছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, নোয়াখালীর হাতিয়া, কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালীর মতো দুর্গম এলাকায়। সেসব এলাকায় মাঝে মধ্যে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।