স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ছেড়েছে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ছেড়েছে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ। বাস, ট্রেন, স্টীমার এমনকি মাছ ধরা নৌকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে ঘরমুখোরা। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে নির্ধারিত আসন পাওয়া পর্যন্ত পদে পদে নানান ভোগান্তি শেষে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যেতে পেরে খুশি অনেকেই। আবার যাত্রাপথের নানান অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভের কথাও জানান কেউ কেউ। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়েও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে উত্তাল সমুদ্রু পেরিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে দাড়িয়ে আছে এমভি তাজউদ্দিন নামের এই যাত্রীবাহী জাহাজটি। সকাল সাড়ে ৯ টায় সিডিউল টাইম থাকলেও ধারণক্ষমতার বেশী যাত্রী উঠে পড়ায় ৮ টার আগেই নোঙর তোলে জাহাজটি। জেটিতে উঠতে না পেরে সাম্পান নিয়ে চলন্ত জাহাজেও ওঠার চেষ্টা করেন অনেকে। নির্ধারিত সময়ের আগে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভের কথা জানান যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের চিত্র এটি। প্রতিটি প্লাটফর্মেই ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। নির্ধারিত রুটের ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়েন যাত্রীরা। কে কার আগে উঠবে সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। কারণ টিকিট থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সিট পর্যন্ত পৌছতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা নেই একেবারেই। তাই যে যেই বগিতে পারছেন সে সেখানেই উঠছেন। এতসব ঝক্কিঝামেলার পড়েও নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরতে পারার আনন্দ ছিল সবার চোখে-মুখে।
বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাওয়ার কথা জানান চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার।
গেল ১৯ এপ্রিল ঝড়ের কবলে পড়ে স্পীডবোট উল্টে ৪ শিশু নিহত হওয়ার পর থেকে সন্দ্বীপের কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাটে স্পীডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই একটি মাত্র স্টীমারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই দ্বীপ উপজেলার অন্তত ৪ লাখ মানুষের মুল ভুখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। অপ্রতুল এই যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অনেকে মাছ ধরা লালবোটে করেও উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার প্রত্যাশা নিয়ে।