১১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

লিবিয়ায় আটক মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ যুবককে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২
  • / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশে কর্মসংস্থানের অভাবে থামানো যাচ্ছে না সমুদ্রপথে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রা। ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এবার ইউরোপ যাত্রার পথে লিবিয়ার বন্দীশালায় আটক মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ যুবক। তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণের লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত খোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রিয় সন্তানদের ফিরে পেতে পরিবারগুলো আকুতি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যদিও উপজেলা প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

প্রিয় সন্তান কেমন আছে জানেন না বাবা মোক্তার বেপারী ও মা রেহানা বেগম। ১৫ দিন আগে মুঠোফোনে কথা হলেও দালালদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় খোঁজ নেই সাগরের। একই অবস্থা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুরের আরো কয়েক যুবকের। স্বজনরা জানান, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বরের মাধ্যমে জনপ্রতি ৯ লাখ টাকায় অবৈধভাবে ইতালী যাবার উদ্দেশ্যে ৪ মাস আগে রওয়ানা দেন ২৮ যুবক। পরে রুট হিসেবে ব্যবহার করা লিবিয়ায়, এসব যুবককে আটক রেখে দফায় দফায় আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণের লাখ লাখ টাকা। তবুও মিলছে না মুক্তি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

এরই মধ্যে টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা গুণে নিচ্ছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান। তবে ঘটনার পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেন তিনি।

কালকিনি উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভুক্তভুগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

এ ঘটনায় রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামে বেশ কয়েকজন দালাল জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ডাসার থানায় মামলা করতে গেলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লিবিয়ায় আটক মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ যুবককে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২

 

দেশে কর্মসংস্থানের অভাবে থামানো যাচ্ছে না সমুদ্রপথে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রা। ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এবার ইউরোপ যাত্রার পথে লিবিয়ার বন্দীশালায় আটক মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ যুবক। তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণের লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত খোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রিয় সন্তানদের ফিরে পেতে পরিবারগুলো আকুতি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যদিও উপজেলা প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

প্রিয় সন্তান কেমন আছে জানেন না বাবা মোক্তার বেপারী ও মা রেহানা বেগম। ১৫ দিন আগে মুঠোফোনে কথা হলেও দালালদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় খোঁজ নেই সাগরের। একই অবস্থা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুরের আরো কয়েক যুবকের। স্বজনরা জানান, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বরের মাধ্যমে জনপ্রতি ৯ লাখ টাকায় অবৈধভাবে ইতালী যাবার উদ্দেশ্যে ৪ মাস আগে রওয়ানা দেন ২৮ যুবক। পরে রুট হিসেবে ব্যবহার করা লিবিয়ায়, এসব যুবককে আটক রেখে দফায় দফায় আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণের লাখ লাখ টাকা। তবুও মিলছে না মুক্তি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

এরই মধ্যে টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা গুণে নিচ্ছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান। তবে ঘটনার পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেন তিনি।

কালকিনি উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভুক্তভুগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

এ ঘটনায় রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামে বেশ কয়েকজন দালাল জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ডাসার থানায় মামলা করতে গেলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ।