পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আশানুরুপ ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি হালদা নদীর জেলেরা
- আপডেট সময় : ০৬:০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ প্রজাতির মা মাছ। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আশানুরুপ ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি জেলেরা। তাদের দাবি, এবার স্মরণকালের সবচেয়ে কম ডিম মিলেছে হালদা গবেষক ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় কাঙ্খিত ফল আসেনি।
হালদা পাড়ের হ্যাচারী আর ডিম ফুটানোর জন্য নির্মিত প্রাচীন আমলের মাটির কুয়োগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ডিম আহরণকারীরা। হালদা নদী থেকে আহরিত ডিম রেণুতে রুপান্তরের কাজ চলছে।
পুর্ণিমার জো’র শুরুতে সোমবার সকালে নমুনা ডিম পাওয়ায় আশায় বুক বাধে হালদা পাড়ের জেলেরা। মঙ্গলবার ভোরে জেলেদের জালে উঠতে থাকে দেশিয় মাছের নিষিক্ত ডিম। জোয়ার ভাটার হিসেব কষে দিনভর নদীর বাকে বাকে জাল পেতে বসে থাকে ডিম আহরণকারীরা। ডিমের পরিমান একেবারেই কম হওয়ায় হতাশ জেলেরা।
জেলা মৎস কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ২০২০ সালে ২৬ হাজার কেজি ডিম আহরোণ হয়। যা ১৪ বছরের রেকর্ড ভাঙে। এরপর ডিমের পরিমান বাড়াতে মা মাছ রক্ষা, দখল-দুষণ রোধসহ হালদা ঐতিহ্য রক্ষায় নানামুখি পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃতি বিমুখ হওয়ায় কোন চেষ্টায় সুফল মেলেনি।
হালদা গবেষকরা বলছেন, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে অমাবশ্যা পুর্ণিমার জো’ কে কেন্দ্র করে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ী ঢলে নদীর পানি ঘোলা হলেই ডিম ছাড়ে মা মাছ। কিন্তু পরপর দু’বছর প্রকৃতির এসব অনুসঙ্গ একসঙ্গে মিলছে না। তাই কাঙ্খিত ফলাফলও আসছে না।
বর্ষা মৌসুমের ছ’টি জো’র মধ্যে এখন তৃতীয় জো চলছে। তাই ২৫ মে’র পর দ্বিতীয় দফায় ডিম আহরণের আশায় হালদাপাড়ের জেলেরা।