অর্থনীতির সবকটি সুচকেই অস্থিরতা বিরাজমান বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা
- আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এখন শুধু উপস্থাপনের অপেক্ষায়। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে, অর্থনীতির সবকটি সুচকে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আসছে বাজেটে এর প্রতিকার দেখতে চান ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, শুধু বরাদ্দের হিসেব-নিকেশই নয়, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের রূপরেখা চুড়ান্ত হয়েছে। বাজেটের আকার, আয়, ব্যায়, ঘাটতির হিসেব নিকেশসহ নানান বিষয়ে প্রতিদিনই সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বাজেটের লাভ-ক্ষতির হিসেব মেলাতে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটি বাজেট ঘোষণার পরই পর্দার আড়ালে, আগামী বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু হয় । কিন্তু এ বছর শেষ সময়ে এসে বিশ্ব অর্থনীতিতে নানান সমীকরণ যুক্ত হয়েছে। তাই আসছে বাজেট হবে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্থির অর্থনীতির নানান সমীকরণ মেলাতে গিয়ে বেশ কিছু খাতকে গুরুত্বে দেয়ার পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে নতুন বাজেটে।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, অস্থির অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানী আয় বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। কিন্তু তার জন্য নীতিগত সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবন্ধকতা দুর করতে হবে।
বাজেটের বরাদ্দ খরচে অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে তড়িঘড়ি থাকলেও শুরুতে উদাসিন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও এই রীতি লক্ষ্যনীয়। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে শুরু থেকে সক্রিয় থাকবেন সংশ্লিষ্টরা- এমনটাই প্রত্যাশা অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতাদের।