বিপর্যস্ত সিলেটে যোগাযোগ-অবকাঠামোখাতে ক্ষয়ক্ষতি ১ হাজার কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের নদনদীর পানি কমলেও ভাটি অঞ্চলে প্রবাহে গতি না থাকায় বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে সিলেট জেলার নিচু এলাকায়। বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে যোগাযোগ ও অবকাঠামো। সড়কে প্রায় ৪৫০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ দিতে হবে সরকারকে। ঘর-বাড়ি, অবকাঠামো, সড়ক, মৎস, কৃষিসহ সবখাত মিলিয়ে সিলেটে বন্যায় প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে অর্থ বরাদ্দ না এলে ক্ষতিগ্রস্ত সেসব সড়কে ভোগান্তির শিকার হবেন মানুষজন।
সিলেটের বন্যার পানি নামছে আর ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে। জেলা প্রশাসন বলেছে জেলার অবকাঠামো গত ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার।
মুখ থুবড়ে পড়েছে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ১২০টি রাস্তার ২৭৭ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশের খতিয়ান প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা। সিলেট মহানগর ও জেলার ১৩টি উপজেলার সড়ক মহাসড়কের ক্ষতি অন্তত ৪শ’ ৩ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৭২ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে তলিয়েছে। এর বাইরে আরও ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৭৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্যখাতে ২১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং কৃষি খাতে ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদিপশু খাতে ক্ষতি ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭০ টাকা। জেলায় ১ হাজার ৭০৪ হেক্টর বোরো জমি, ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১ হাজার ৫৩৮ হেক্টর সবজি ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডুবে যাওয়ায় অবকাঠামোর ক্ষতি ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতির খতিয়ান দিচ্ছেন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ভবিষ্যতের ভোগান্তি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ উপজেলার বানভাসী মানুষের।
সঠিক সময়ে কাজ করতে পারলে এসব সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব, জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
৭২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামতে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের কথা জানালেন কর্মকর্তা।
নগর ও উপজেলায় বিভিন্ন খাতের অবকাঠামোগত ক্ষতি অন্তত হাজার কোটি টাকার মতো, প্রাথমিকভাবে এমন ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
উজানে ভারী বৃষ্টি কমে আসায় নামতে শুরু করেছে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি।মেঘনা অববাহিকাসহ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকায় পানি নামছে মন্থরগতিতে। শেওলায় বিপদসীমার নিচে বয়ে গেলেও অমলশীদে কুশিয়ারার পানি এখনও বিপদসীমার উপরে।