বাজেট বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের বিপরীতে টাকার সর্বোচ্চ দর পতনের মতো অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেই, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রণোদনা আর ভর্তুকির ওপর ভর করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, আমদানী পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে টাকার দরপতন ঠেকানোর মতো ইতিবাচক অনেক উদ্যোগ দৃশ্যমান। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে সচেষ্টা ছিল; ঠিক তখনই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আরও পিছিয়ে দিয়েছে। এ কারনে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির যাতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষ। এমনই অস্থির সময়ে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী।
৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা দিলেও, সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশী আয়ের হিসেব দেখাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। বাকি প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি পুরণ করতে ধার, দেনা আর অনুদানের কথা বলেছেন তিনি। বর্তমান প্রশাসনের ওপর ভর করে যা বাস্তবায়ন করা কঠিন।
ঋণের সুদ, পরিবহণ ও জনপ্রশাসনে ব্যয় বাড়াতে গিয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তার খাতগুলো খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি। বরং নতুন নতুন করজালে বিস্তৃত হয়েছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
বাজেটের আগে দ্রব্যমুল্যের লাগাম টানার ঢাক-ঢোল পেটানো হলেও, তা কেবলই কাগুজে বাঘ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে, অর্থমন্ত্রী ভর করতে চান কেবলই প্রনোদনা আর ভর্তুকির ওপর। ট্যাক্সনেট বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, এনবিআরের বর্তমান অবকাঠামোতে তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
বৈধপথে রেমিট্যান্স টানতে, আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি রপ্তানীখাতে কর হ্রাস করা হয়েছে। বিনিয়োগের আশায় কর্পোরেট ট্যাক্সে বড় ধরনের ছাড় দেয়া হয়েছে। পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরাতে লোভনীয় অফার থাকলেও তা আকর্ষণ করবে না ধনীদের। ফুটেজ-৫
নতুন অর্থবছরে পণ্যের দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি বাড়তে দিতে চান না অর্থমন্ত্রী। বিপরীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিতে চান ৭ দশমিক ৫ শতাংশে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট রুপরেখা নেই একটিতেও। (বাজেট অধিবেশনের ফুটেজ ঢাকা থেকে)