শামান্তা সিএনজি স্টেশনে অনিয়ম : তদন্ত কমিটি গঠনের এক মাসেও কাজ শুরু করেনি পেট্রোবাংলা
- আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের শামান্তা সিএনজি স্টেশনে পুণ:সংযোগে অনিয়ম ও দোষী কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করেছে পেট্রোবাংলা। এসএটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর কমিটি হলেও, গঠনের এক মাসে তদন্ত কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, দুদকের মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক কর্মকর্তাসহ অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে বাঁচাতে গড়িমসি করছে তদন্ত কমিটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানির জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে না।
৫ কোটি টাকারও বেশি বিল বকেয়া থাকা অবস্থায়, দুই বছর সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কয়েকজন কর্মকর্তা চট্টগ্রামের মোহরা এলাকার এই সিএনজি স্টেশনটিকে পুণসংযোগ দিয়েছে। যাতে গ্যাস বিপণন নীতিমালা ২০১৪ সম্পুর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করে এসএটিভি। দীর্ঘদিন পর গেলো মাসে বিষয়টি তদন্তে কমিটি করে পেট্রোবাংলা। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের কথা থাকলেও এক মাসে কাজই শুরু করেনি তদন্ত কমিটি। এতে হতাশ বিশ্লেষকরা।
শামান্তা সিএনজি স্টেশনের সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করার দায়িত্ব ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস বিভাগের জিএম সারোয়ার আলম আর ডিজিএম অনুপম দত্ত্বের । এদের মধ্যে অন্য একটি সংযোগ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলায় জেলও খেটেছেন সারোয়ার আলম। মুলত এই দুই কর্মকর্তাকে বাচাতেই পেট্রোবাংলার একজন পরিচালকের নির্দেশে ধীরে চলো নীতিতে হাটছে তদন্ত কমিটি।
দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি বলছে, শামান্তাকে পুনসংযোগ দেয়ার জন্য আদালতের রায়কে উপলক্ষ্য করা হয়েছে। কিন্তু মামলা পরিচালনাসহ টানা ৯ মাসের বিল বকেয়া পড়া এমনকি স্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ায় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দৃশ্যমান।
এব্যাপরে কথা বলতে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে গেলেও, প্রতিষ্ঠানটির এমডি কথা বলতে রাজি হননি।