টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের বেশিরভাগ নদনদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বাড়ছে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। প্লাবিত হয়েছে ১৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর। তলিয়ে যাচ্ছে সিলেট মহানগরী। দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষ বলছে, সহসা পানি কমার সম্ভাবনা নেই। আর মেয়র বলছেন, বন্যার্তদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। খোলা হয়েছে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। প্রশাসনের অনুরোধে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বেড়ে সিলেট মহানগরীর পাশাপাশি জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় সবকটি নতুন করে এখন বন্যা কবলিত। সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট,কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, বালাগঞ্জ,বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বন্যা পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে; কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ, কাশিমপুর ও শেরপুর পয়েন্টে এবং সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।
কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার ৫০০ গ্রাম এরই মধ্যে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।এসবএলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
সিলেট নগরীর তালতলা, জামতলা, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, উপশহর, কালীঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। সিলেটের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কালীঘাটের দোকান তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বন্যাত্যদের জন্য সিটি করপোরেশন কাজ করছে বলে জানান মেয়র। বলেন, জরুরি যোগাযোগের জন্য মোবাইল অ্যাপস চালু করা, পর্যবেক্ষণের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে।
একমাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে সিলেটে নতুন করে বন্যায় চরম ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষ।