সিলেটের সার্বিক বন্যায় ৮ উপজেলায় আরো অবনতি
- আপডেট সময় : ০২:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জের বানভাসী বেশিরভাগ মানুষের কাছে এখনও পৌঁছেনি প্রয়োজনীয় ত্রাণ কিংবা উদ্ধারকারীরা। কিছু মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্র নেয়া হলেও, এখনো নিখোঁজ অনেকে। আশ্রয়কেন্দ্রেও রয়েছে শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির সমস্যা। বন্যা দুর্গতরা বলছেন, রান্নার সুযোগ না থাকায় সরকারী-বেসরকারী কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে ত্রাণ হিসেবে দেয়া চাল-ডাল-তেল কোনো কাজে আসছে না। এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সব কটি গ্রামই এখন পানির নিচে। নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের ৩২টি পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, সব ক’টিতেই বানের পানিতে বন্দী হয়ে আছে ৩৫ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে কয়েক হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে মানুষ ও গবাদি পশুতে একাকার।
কয়েকটি স্থানে দেখা যায় এক প্যাকেট খাবারের জন্য, শত শত মানুষের ভিড়। তারা বলছেন, চারদিনে কোনো খাবার মেলেনি তাদের।
এমন দৃশ্য কেবল নন্দীরগাঁও নয়, সিলেটের বেশিরভাগ বন্যা কবলিত এলাকার। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সরকারী, বেসরকারী কিংবা ব্যক্তি পর্যায় থেকে কিছু ত্রাণ দেয়া হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাল, ডাল কিংবা তেল জাতীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে- যা এ মুহূর্তে কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ক্রমেই বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, বন্যায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের কারণে সামনে আরও রোগী বাড়বে।
ছবি হাতে নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। উদ্ধার তৎপরতা আরও জোরদার করার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
বানভাসীদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সশস্ত্র বাহিনীর আরও জোর পদক্ষেপ চান সাধারণ মানুষ।