১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
  • / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদনদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত। সিলেট মহানগরীতে পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ। জেলার নিম্নাঞ্চলেলের বেশিরভাগ ঘর-বাড়ি এখনও পানিতে নিমজ্জিত। কর্তৃপক্ষ নৌকা সংকটের কথা স্বীকার করে বলছে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মহানগরীর নিম্নাঞ্চল এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে। নৌকা সংকটের কারণে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা যানবাহন চলাচল। নৌকার অভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছে।

সিলেট মহানগরীর উঁচু এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। ফলে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। কুশিয়ারা নদীর একাধিক ভাঙ্গণ দিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বিয়ানীবাজারের ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮০ ভাগের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দী। প্রশাসনের ৫৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৮৭ পরিবারের ৫ হাজার ৯২২জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি বেড়েছে কানাইঘাট থেকে শুরু করে ওসমানীনগরের নিম্নাঞ্চলে। এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও রাজনগরের নিম্নাঞ্চলে বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। হাসপাতালের প্রবেশপথে সড়ক পানিতে ডুবে থাকার কারণে হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তির মধ্যে।

বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে দুর্গতরা। উপজেলার ২১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের কোনটিতেই তিল ধারণের জায়গা নেই।

কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা এলাকায়। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় জেলায় ৪২টি ইউনিয়নের ৫’শত গ্রামের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।

ত্রাণ পর্যাপ্ত হলেও সিলেটের বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁচ্ছাছে না ত্রাণ সামগ্রী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় : ০৯:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

 

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদনদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত। সিলেট মহানগরীতে পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ। জেলার নিম্নাঞ্চলেলের বেশিরভাগ ঘর-বাড়ি এখনও পানিতে নিমজ্জিত। কর্তৃপক্ষ নৌকা সংকটের কথা স্বীকার করে বলছে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মহানগরীর নিম্নাঞ্চল এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে। নৌকা সংকটের কারণে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা যানবাহন চলাচল। নৌকার অভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছে।

সিলেট মহানগরীর উঁচু এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। ফলে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। কুশিয়ারা নদীর একাধিক ভাঙ্গণ দিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বিয়ানীবাজারের ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮০ ভাগের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দী। প্রশাসনের ৫৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৮৭ পরিবারের ৫ হাজার ৯২২জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি বেড়েছে কানাইঘাট থেকে শুরু করে ওসমানীনগরের নিম্নাঞ্চলে। এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও রাজনগরের নিম্নাঞ্চলে বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। হাসপাতালের প্রবেশপথে সড়ক পানিতে ডুবে থাকার কারণে হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তির মধ্যে।

বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে দুর্গতরা। উপজেলার ২১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের কোনটিতেই তিল ধারণের জায়গা নেই।

কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা এলাকায়। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় জেলায় ৪২টি ইউনিয়নের ৫’শত গ্রামের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।

ত্রাণ পর্যাপ্ত হলেও সিলেটের বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁচ্ছাছে না ত্রাণ সামগ্রী।