ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল আযহা
- আপডেট সময় : ০১:১৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২
- / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় ঈদগায় ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
শ্রেণি-পেশা-আর্থিক অবস্থান ভুলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সবাই এক কাতারে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে একই সঙ্গে শোনা হলো খুতবা।
এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে বুকে বুক মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায়, প্রীতির বন্ধনে আবার আবদ্ধ হন সবাই।
দুই বছর পর কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত এবার ফিরেছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। করোনা মহামারির কারণে গেল ২ বছর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
এবার তেমন কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাতে এসেছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। নামাজে সরকারের মন্ত্রী, ঢাকার দুই সিটির মেয়র, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসের মহামারীসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি চেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাত শেষে বিধিনিষেধ না থাকায় ঈদের চিরায়ত রীতি অনুযায়ী পরম ভালবাসায় একে অপরকে বুকে টেনে নেন মুসল্লিরা।
বড়দের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগা ভাগি করতে শিশুরাও আসে ঈদগায়।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি নারীরাও।
মুসুল্লীদের নিরাপত্তায় ঈদগাহ ময়দানের চারপাশ ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি।
সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ আনন্দে মেতেছেন মানুষ।
উৎসব মুখর পরিবেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামাত। অংশ নেন হাজার হাজার মুসুল্লি। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে মোট ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররমে। সব জামাতে দেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
মুখে তাকবির হাতে জায়নামাজ। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুভ্র পোশাকে বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা ছুটে আসেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা চাদরে একে একে বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার প্রথম জামাত। সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমানের ইমামতিতে জামাতে অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।নামাজ শেষে হাজারেও হাত একসাথে মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভে মোনাজাত করেন।প্রিয়জন, আত্মিয় স্বজনসহ সমগ্র মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত।
পাশাপাশি করোনা থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তির দোয়াও ছিল সৃষ্টিকর্তার কাছে।
মোনাজাত শেষে ঈদের চিরায়ত রীতি অনুযায়ী পরম ভালবাসায় একে অপরকে বুকে টেনে নেন মুসল্লিরা।
হিংসা-বিদ্যেশ ভুলে একসঙ্গে দেশ ও জাতী গঠনে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করেন তারা।
উৎসব উৎসর্গ হোক সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য।