ডলারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে দেশের আমদানী বাজারে বাড়ছে সংকট
- আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানীকারক এবং প্রবাসীদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক এখনো ডলার কিনছে ১০০ টাকার নিচে। অথচ বিক্রি করছে ১১৫ টাকার উপরে। কার্ভ মার্কেটে বেচাকেনা হচ্ছে আরো বেশি দামে। রপ্তানীকারকরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে অধিক মুনাফা বাগিয়ে নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আসছে না। আর আমদানীকারকরা বলছেন, ডলার বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় আমদানীর সাহস পাচ্ছেন না তারা। এতে সংকট তৈরী হচ্ছে দেশের বাজারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অতিকথনের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
গেলো কয়েক বছর ধরে রপ্তানীমুখী শিল্প আর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভিত্তি করে সারাবছরের আমদানী দায় মিটিয়ে ৪৯ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ গড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনার ধাক্কার পরপরই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ছন্দপতন ঘটে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার ঢেউ আছরে পড়ে বাংলাদেশে। আয়-ব্যায়ের হিসেব মেলাতে টান পড়ে রিজার্ভে। আমদানীকারকরা বলছেন, ডলারের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় সংকটে আমদানী নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান।
রপ্তানীকারকরা বলছেন, বহু বছর ধরে আন্তব্যাংকিং খাতে ডলারের দাম বেধে রেখেছে সরকার। এই সুযোগে রপ্তানীকারক আর বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো প্রবাসীদের ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যাংক।হঠাৎ ডলার সংকট তৈরীর এটি অন্যতম কারণ।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন না থাকার দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে সরকার। সেটাফ
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এমন অস্থিরতার মধ্যে আগুনে ঘি ঢেলেছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি। এতে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য আরেক দফা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড।