দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
মধুমতি নদীর উপর দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে ।
গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি চালু হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পাবে এ অঞ্চলের মানুষ।
পদ্মাসেতুর পর এ সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর ঢাকার যোগাযোগ আরো সহজ করবে।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলেও এর সুফল পাচ্ছিলো না যশোর, নড়াইল, বেনাপোল বন্দরসহ আশপাশ অঞ্চলের মানুষ।
নড়াইল, যশোর, বেনাপোল রুটে চলাচলকারীদের ভোগান্তি কমাতে মধুমতি নদীর কালনা পয়েন্টে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ লেনের কালনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ।
দৃষ্টিনন্দন এ সেতু বাংলাদেশের প্রথম ৬ লেনের এবং সবচেয়ে বড় নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু।
সেতুর উভয় পাশে ৪ দশমিক ২৭৩ কি:মি: লম্বা ও ৩০ দশমিক ৫০ মিটার চওড়া সংযোগ সড়ক এর কাজ ইতোমধ্যে শেষের পথে।
ছয় লেনের এ সড়কের মাঝখানের ৪ লেন দিয়ে দ্রুত গতির গাড়ি পাশের দুই লেন দিয়ে কম গতির গাড়ি চলবে। শেষ মুহূর্তের চলছে হাতের ছোয়া সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।
সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত : ১৩ টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
কমে যাবে বিভিন্ন জেলা হতে ঢাকার দুরত্ব। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাথে বেনাপোলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
ভোমরা ও বেনাপোল স্থল বন্দর এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাওয়াসহ এশিয়ান হাইওয়ের বিচ্ছন্নতা দূর হবে।
এতে এ অঞ্চলের অর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করেন, প্রকল্প কর্মকর্তা।
৬ লেনের কালনা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।