০১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ট্রানজিট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সেভেন সিস্টার্সে ভারতীয় পণ্য পরিবহণ শুরু

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে পরীক্ষামুলক পণ্য পরিবহণ শুরু করেছে ভারত। এ উদ্যোগ সফল হলে, শিগগির বন্দরের পাশাপাশি বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে পুরোদমে পণ্য পরিবহণ শুরু করবে দেশটি। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি শুধু ভারত নয়, চাইলে অন্য দেশও মাশুলের বিনিময়ে বন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারবে। তবে বন্দর ব্যবহারকারী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধা দিতে গেলে, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পন্য পরিবহনের চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহারের আলোচনা বেশ পুরোনো। ইতিমধ্যে প্রথম দফা ট্রায়াল শেষ হয়েছে দু’বছর আগে। দ্বিতীয় দফায় ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসবে কয়েকদিনের মধ্যে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই তৃতীয় ও চতুর্থদফার ট্রায়াল শেষে পুরোদমে পণ্য পরিবহন করতে চায় দেশটি।

বন্দর ব্যবহারকারিদের দাবি, বছরে অন্তত ২০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বাংলাদেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য। কিন্তু সেই তুলনায় সক্ষমতা বাড়ছে না বন্দরের। তাই বে টার্মিনাল চালু করাসহ বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে।

আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধায় শুধু বন্দরই নয়, সড়ক পথকেও ব্যবহার করবে ভারত। তাই অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ন্যায্য মাশুল নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে। আর এই বিষয়টি সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে হতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে গড়ে তুলতে কয়েক বছর ধরেই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুন। দরকার শুধু সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

ক’বছর আগে একটি পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌছনোর পর জেটিতে ভিড়তে বহিনোঙ্গরে ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হতো। আধুনিক কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টিউব ও রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন, শক্তিশালী টাগবোটসহ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত হওয়ায় দিনক্ষণ কমে আসার পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বেশ বেড়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ট্রানজিট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সেভেন সিস্টার্সে ভারতীয় পণ্য পরিবহণ শুরু

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে পরীক্ষামুলক পণ্য পরিবহণ শুরু করেছে ভারত। এ উদ্যোগ সফল হলে, শিগগির বন্দরের পাশাপাশি বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে পুরোদমে পণ্য পরিবহণ শুরু করবে দেশটি। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি শুধু ভারত নয়, চাইলে অন্য দেশও মাশুলের বিনিময়ে বন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারবে। তবে বন্দর ব্যবহারকারী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধা দিতে গেলে, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পন্য পরিবহনের চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহারের আলোচনা বেশ পুরোনো। ইতিমধ্যে প্রথম দফা ট্রায়াল শেষ হয়েছে দু’বছর আগে। দ্বিতীয় দফায় ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসবে কয়েকদিনের মধ্যে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই তৃতীয় ও চতুর্থদফার ট্রায়াল শেষে পুরোদমে পণ্য পরিবহন করতে চায় দেশটি।

বন্দর ব্যবহারকারিদের দাবি, বছরে অন্তত ২০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বাংলাদেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য। কিন্তু সেই তুলনায় সক্ষমতা বাড়ছে না বন্দরের। তাই বে টার্মিনাল চালু করাসহ বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে।

আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধায় শুধু বন্দরই নয়, সড়ক পথকেও ব্যবহার করবে ভারত। তাই অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ন্যায্য মাশুল নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে। আর এই বিষয়টি সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে হতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে গড়ে তুলতে কয়েক বছর ধরেই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুন। দরকার শুধু সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

ক’বছর আগে একটি পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌছনোর পর জেটিতে ভিড়তে বহিনোঙ্গরে ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হতো। আধুনিক কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টিউব ও রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন, শক্তিশালী টাগবোটসহ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত হওয়ায় দিনক্ষণ কমে আসার পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বেশ বেড়েছে।