গুলশানের আজাদ মসজিদে ড. আকবর আলী খানের জানাযা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৪:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খানের মরদেহ তার বাসায় রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টার দিকে ড. আকবর আলী খানের মরদেহ তাঁর গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আত্মীয় স্বজন ও শুভ্যানুধায়ীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছে সেখানে। ড. আকবর আলি খানের জানাযা বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেলো রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. আকবর আলী খান। জনমুখি স্পস্টবাদী এক কণ্ঠস্বর। একাধারে অর্থনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক, সমাজ গবেষক ছিলেন তিনি। রাজনীতি, অর্থনীতি কিংবা সামাজিক সংকটে নাগরিকদের পক্ষে নির্মোহ অবস্থান ছিলো তার। সেই ভরসাস্থলের জীবন প্রদীপ নিভে গেলো হঠাৎ করেই। বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান ড. আকবর আলী খান।
আকবর আলী খান…। যিনি নিজেই একটি ইনস্টিটিউট। তাঁর স্পষ্টবাদী ভাষ্যের কারণে হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের ভরসার জায়গা। যা বিশ্বাস করতেন অকপটেই বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন তিনি।
১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন এ গুণীজন। ধানমন্ডি গভ: বয়েজ হাই স্কুলে থেকে বিদ্যালয় জীবন পার করে পা রাখেন ঢাকা কলেজে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে নেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ।
১৯৬৭ সালে যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। হবিগঞ্জের এসডিও হয়ে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। মুজিবনগর সরকারের উপসচিব নিয়োজিত হয়ে ছিলেন। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় থাকায় পাকিস্তান সামরিক আদালত তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশে আকব আলী খান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব ও মন্ত্রী পরিষদ সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর থেকেই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নানা অসংগতি তুলে ধরতেন তিনি। সাংবাদিক থেকে বিজ্ঞজনেরা নানা সমস্যা নিরসনে ছুটে যেতেন তার কাছেই। সৎ, নির্ভীক ও আপোষহীন এই ব্যক্তি ছাড় দেননি কোন কিছুতেই। আমৃত্যু ন্যায় ও সত্যের পথে চলেছেন এ গুণীন। হয়েছেন সর্বস্বীকৃত ভালোবাসার একজন।